Khorkuto

Khorkuto: সাজির বিয়ের আগেই গুনগুন অসুস্থ! অগস্টে শেষ ধারাবাহিক ‘খড়কুটো’?

চ্যানেলে একের পর এক নতুন ধারাবাহিক। তাই কি এক বছরের মাথায় শেষ হতে চলেছে ধারাবাহিক ‘খড়কুটো’? কী বলছেন পর্দার ‘সাজি’?

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০২২ ২৩:৪২
খড়কুটো ধারাবাহিকের একটি দৃশ্য।

খড়কুটো ধারাবাহিকের একটি দৃশ্য।

মুখোপাধ্যায় পরিবারে এক দিকে আনন্দ। অন্য দিকে শঙ্কার ছায়া! পটকার একমাত্র মেয়ে সাজি আবারও বিয়ের পিঁড়িতে। কলেজের সহ-অধ্যাপক অর্জুনের সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়তে চলেছে সে। সেই আনন্দে মাতোয়ারা সবাই। হুল্লোড়ে মেতেছে গুনগুনও। কিন্তু আগের মতো হইচই করতে পারছে কই? অল্পেই হাঁপিয়ে যাচ্ছে যেন! টেলিপাড়ায় গুঞ্জন, এ ভাবেই নাকি কান্না-হাসির দোলায় দুলতে দুলতে শেষ হতে চলেছে লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের আরও একটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘খড়কুটো’। ৫ অগস্ট নাকি তার শেষ সম্প্রচার।

অতিমারির সময়ে, ২০২০-র ১৭ অগস্ট শুরু হয়েছিল ধারাবাহিক। প্রথম দিন থেকে দর্শকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে গুনগুন, সৌজন্য, জেঠাই, পটকা, মেজকা, পুটুপিসি, চিনি, সাজি, রূপাঞ্জনেরা। এই ধারাবাহিকেই প্রয়াত অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায় স্নেহময় বাবার চরিত্রে ধরা দিয়েছিলেন।

Advertisement

ইদানীং ধারাবাহিকে যতই মোচড় থাক, রেটিং চার্টে তার কোনও ছাপ নেই। ধারাবাহিকের টিআরপি বহু দিন তলানিতে। তাই কি এই গুঞ্জন? আনন্দবাজার অনলাইন জানতে চেয়েছিল ‘সাজি’ ওরফে সোনাল মিশ্রের কাছে। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা শুনিনি। তবে যে কোনও ধারাবাহিক এক দিন না এক দিন শেষ তো হবেই।’’

ধারাবাহিকের শুরুতে সাজির ততটাও গুরুত্ব ছিল না। গত বেশ কিছু পর্ব ধরে দেখানো হচ্ছে তারই গল্প। আগের সময়টা নিয়ে কোনও আফসোস নেই সোনালের। তাঁর যুক্তিতে, যে কোনও পরিবারেও সবাই একসঙ্গে সমান গুরুত্ব পান না। ‘খড়কুটো’ও সেটাই দেখাচ্ছে। ঘুরেফিরে সবাই ধীরে ধীরে গুরুত্ব পাচ্ছেন। এবং কাহিনিকারের কলমের গুণে ইদানীং সোনালের জনপ্রিয়তা নাকি আরও বেড়েছে!

হোক পর্দার বিয়ে। দ্বিতীয় বার কনে সাজবে সাজি। বুক ঢিপঢিপ করছে নাকি মন বেশ খুশি খুশি?

লাজুক গলায় অভিনেত্রীর দাবি, কনে সাজার একটা আলাদা অনুভূতি সব সময়েই কাজ করে। সেটাই হচ্ছে। একই সঙ্গে সাজি চরিত্রের মাধ্যমে এ-ও দেখানো হচ্ছে, জীবনে মন্দের পাশাপাশি শুভ মুহূর্তও আসে। তার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে হয়। ভাল কিছু পেতে গেলে ধৈর্য ধরতে হয়। পর্দায় কলেজের অধ্যক্ষ হবু বর-কনেকে ছুটি দিয়ে দিয়েছেন। মধুচন্দ্রিমায় কোথায় যাবে নবদম্পতি? হাসতে হাসতে সোনালের দাবি, ‘‘এ সব একমাত্র লীনাদিই জানেন!’’

Advertisement
আরও পড়ুন