যে কারণে তামিলনাড়ুর হল থেকে সরানো হল ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। ছবি: সংগৃহীত।
এই ছবির পক্ষ নিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ইতিমধ্যেই এই ছবিকে করমুক্ত করেছে বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশ সরকার। অন্য দিকে, লক্ষ্মীলাভের দিকেও আশানুরূপ ফল দেখা গিয়েছে। মাত্র দু’দিনে এই ছবি প্রায় ১৯ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে। যদিও এই ছবি নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছিল কেরল রাজ্য সরকার। সুপ্রিম কোর্ট, মাদ্রাজ হাইকোর্ট এবং কেরল হাইকোর্ট এই ছবির মুক্তির উপর নিষেধাজ্ঞা জারির যাবতীয় আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। অন্য দিকে, দিল্লিতে আম আদমি পার্টির সরকারের কাছে বিজেপির দাবি, ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ ছবিকে করমুক্ত করে কিশোরীদের এই ছবি দেখানোর ব্যবস্থা করা হোক। এর মাঝেই দক্ষিণ ভারতের রাজ্য তামিলনাড়ু থেকে সরিয়ে দেওয়া হল এই ছবি।
বিজেপি বিরোধী রাজ্য তামিলনাড়ু। সেখানেও কেরলের মতোই এই ছবি ঘিরে বির্তক-বিক্ষোভ। একাধিক রাজনৈতিক দল, ধর্মীয় সংগঠন প্রেক্ষাগৃহের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে। আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হতে পারে— এই মর্মে ছবির প্রর্দশন বন্ধ করল তামিলনাড়ু থিয়েটার ওনার্স অ্যাসোশিয়েশন। পাশাপাশি তাঁদের দাবি, এই ছবি দেখতে দর্শক একেবারেই আসছেন না হলগুলিতে। গত শুক্র-শনিবার নাকি একেবারেই ফাঁকা ছিল হলগুলি। সেখানে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’-কে সরিয়ে মণি রত্নমের ‘পোন্নিয়ান সেলভান’-কে শো দেওয়া হয়েছে। ছবির ট্রেলার দেখেই বিতর্কের মেঘ ঘনিয়েছিল। মুক্তির পর হইচই ফেলে দিয়েছে পরিচালক সুদীপ্ত সেনের ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। কেউ ছবিটিকে সমর্থন করছেন, কেউ এর বিপক্ষে সরব হয়েছেন।
ছবিটির মূল চিত্রনাট্য সাজানো হয়েছে যে বিষয়টিকে কেন্দ্র করে, তা নিঃসন্দেহে বিতর্কিত। এই ছবিতে হিন্দু মহিলাদের উপর ইসলাম আগ্রাসনের কাহিনি তুলে ধরা হয়েছে। ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতায় জোরদার হয়েছে বিতর্ক। মুক্তির পর তিন দিন কেটে গেলেও এই ছবিকে কেন্দ্র করে বির্তক থামার নাম নেই। তামিলনাড়ু সারকারে এই পদক্ষেপের পর দক্ষিণ ভারতের অন্য রাজ্যগুলি কী পদক্ষেপ করেন সেটাই দেখার।