বিয়ে করলেন অভিনেত্রী মল্লিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।
বিয়ে করলেন অভিনেত্রী মল্লিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। মায়ের দ্বিতীয় বিয়েতে সাক্ষী থাকল একমাত্র মেয়ে গরিমা। বলা ভাল, গরিমাই নিজে দাঁড়িয়ে থেকে মায়ের বিয়ে দিল। পাত্র পেশায় চিকিৎসক। করোনা অতিমারির সময়ে মনের মতো সঙ্গী নিজেই খুঁজে নিয়েছিলেন মল্লিকা। অবশেষে সেই সম্পর্ক পরিণতি পেল ২৪ জানুয়ারি। বর্তমানে ‘গীতা এলএলবি’ ও ‘দুই শালিক’ ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন মল্লিকা। এ ছাড়াও রাজর্ষি দে পরিচালিত ‘সাদা রঙের পৃথিবী’ ছবিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
অভিনেত্রী বিয়ের জন্য বেছে নিয়েছিলেন একেবারে সাবেকী সাজ। লাল রঙের বেনারসির সঙ্গে সোনার অলঙ্কারে সেজেছিলেন তিনি। সমস্ত রীতি মেনেই এ দিন বিয়ে সারেন মল্লিকা। পাত্র রুদ্রজিৎ রায় সিঁদুর পরাতেই নাকে এসে পড়েছিল তা। বহু বছর পরে ফের সিঁদুরে রাঙা হলেন অভিনেত্রী। টলিপাড়া থেকে বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন অদিতি চট্টোপাধ্যায়, চাঁদনি সাহা, মধুপ্রিয়া চৌধুরী-সহ আরও অনেকে।
বর্তমানে মল্লিকা ১৭ বছরের এক মেয়ের মা। জীবনের নতুন অধ্যায় নিয়ে কথা বলেছিলেন আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে। অল্প বয়সে ভালবেসে বিয়ে করেন মল্লিকা। মেয়ের বয়স যখন ৯ সেই সময় স্বামী এসে জানান, পরকীয়ায় জড়িয়েছেন। সেই থেকে শুরু লড়াই। একা হাতে মেয়েকে বড় করে তোলেন। তার মাঝেও প্রেম আসে মল্লিকার জীবনে। তিনিও ইন্ডাস্ট্রির পরিচিত মুখ। কিন্তু বছর খানেকের মধ্যে সেখানেও প্রতারণা। বিশ্বাস উঠে গিয়েছিল সম্পর্ক থেকে। অবশেষে রুদ্রজিতের কাছে ফের প্রেমের সন্ধান পান অভিনেত্রী। তিনি বলেছিলেন, ‘‘রুদ্রর তরফ থেকেই প্রস্তাবটা আসে। আমি বহু বার নিষেধ করেছি। বলা ভাল, ওকে বলেছি ভেবে দেখতে। তার কারণ, একটা বড় মেয়ে নিয়ে বিয়ে করা সহজ নয়। রুদ্র হাল ছাড়েনি। ভরসা ফিরিয়ে দিয়েছে আমার মানুষের প্রতি।’’
মেয়ের সম্পর্কে তিনি বলেছিলেন, ‘‘মেয়ের যখন ১১ বছর বয়স সেই সময় থেকে ওই আমাকে বলেছিল, নতুন করে ভাবার কথা। এখন রুদ্র আর মেয়েকে কথা বলতে দেখলে কেউ বলবে না যে ও গরিমার বাবা নয়।’’