সৃজিত-তসলিমা
অনেকের মুখে নিন্দে শুনে ‘রে’ দেখার ইচ্ছে জেগেছিল তসলিমা নাসরিনের। ফেসবুকে পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ বাংলাদেশের লেখিকা। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা আগে নিজের অবস্থান বদলে ফেললেন তসলিমা? সৃজিতকে ‘স্মার্ট’ বলে কোথাও যেন আফসোস করছেন তিনি। তেমনটাই ধরা পড়ল তাঁর সাম্প্রতিকতম পোস্টে। যদিও শেষে সৃজিতের কাঁধে সমস্ত দায় চাপাতে রাজি হননি তসলিমা। প্রযোজকদের বা প্রযোজনা সংস্থাকে তোপ দাগলেন লেখিকা।
তসলিমার চোখে সৃজিতের দোষ কী?
পরিচালকের পুজো আচ্চা এবং পৌত্তলিকতায় বিশ্বাস দেখে ক্ষুব্ধ তসলিমা। তিনি লিখলেন, ‘কাল রাতে সৃজিত মুখার্জির ফরগেট মি নট দেখে তাঁকে চূড়ান্ত স্মার্ট বলে রায় দিয়েছি, স্মার্ট মানেই তো আমার চোখে লৌকিকে বিশ্বাসী, অলৌকিকে নয়। কিন্তু বললাম না বার বার আমি হোঁচট খাই!’
মঙ্গলবার রাতে ‘রে’ দেখার পরে তসলিমার মনে হয়, তুখোড় শিল্পীর সমন্বয়েই সত্যজিৎ রায়ের এমন আধুনিকীকরণ সম্ভব হয়েছে। তাঁর দাবি, কয়েক দশক পুরোনো গল্পের এমন অবিশ্বাস্য আধুনিকীকরণ করতে সাহস তো দরকার-ই। তার সঙ্গে দরকার কল্পনাশক্তি আর শিল্পবোধের। ছক ভাঙা সোজা ব্যাপার নয়। অভিষেক চৌবে ও ভাসান বালা পরিচালিত বাকি দু’টি ছবির প্রশংসা করে তসলিমা লেখেন, ‘আমাদের সৃজিত মুখোপাধ্যায় যত ছবি বানিয়েছেন, মনে তো হচ্ছে তাঁর এ দুটো সবার সেরা’।
কিন্তু ছবির শ্যুট শুরু করার আগে ঠাকুর দেবতার পুজো করাকে মেনে নিতে পারেননি লেখিকা। তাঁর আশা ছিল, সৃজিতের মতো ‘স্মার্ট’ পরিচালক আচার অনুষ্ঠানে বিশ্বাসী নন। কিন্তু তাঁর ভুল ভাঙে ফেসবুক পোস্ট দেখে। সৃজিত মঙ্গলবার তাঁর ইনস্টাগ্রামে ‘এক্স ইক্যুয়ালস টু প্রেম’-এর শুভ মহতের ছবি দিয়েছিলেন।
সেই ছবি দেখে তসলিমা লিখলেন, ‘চোখে পড়লো তাঁর একখানা ফেসবুক পোস্ট, তাঁর নতুন ছবির মহরতে ভগবানের মূর্তি, আর তার পাদদেশে কলা, নারকেল, ফুল টুলের পুজো।’ যদিও তিনি অস্বীকার করছেন না যে, ঈশ্বরবিশ্বাসীরাও প্রতিভাবান হতে পারেন।
শুধু সৃজিত নয়, একইসঙ্গে তিনি নাম না করে প্রযোজনা সংস্থা ‘শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস’-এর দিকে আঙুল তুললেন। তাঁর দাবি, টাকা-পয়সা থাকলেই প্রযোজক হওয়া যায়। আর তাই তিনি লিখলেন, ‘সৃজিত ঠিকই নিরীশ্বরবাদী, ছবির প্রযোজক করেছেন পুজোর আয়োজন’।