রক্ত দিলেন স্বস্তিকা।
যুদ্ধে নামার আগে জানিয়েছিলেন, চাইলেও অতিমারি আক্রান্তদের পাশে থাকতে পারছেন না। তাই নিয়ে আফসোসেও ভুগছিলেন। তার পরেই পাশে থাকার পন্থা খুঁজে নিয়েছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। প্রতি মুহূর্তে চিকিৎসা পরিষেবা সংক্রান্ত তথ্য, যোগাযোগ নম্বর তিনি ছড়িয়ে দিয়েছেন নেটমাধ্যমে। যাতে আক্রান্ত বিনা চিকিৎসায় ফুরিয়ে না যান। এ বার তাঁর নতুন পদক্ষেপ রক্তদান। কোভিড রোগীদের মুখ চেয়ে রক্ত দিলেন। সোজাসুজি আর্জি পেশ করলেন নেটমাধ্যমে, ‘কথা তো অনেক দিলেন। এ বার রক্ত দিন। আর সঙ্গে বন্ধু-বান্ধবীদেরও নিয়ে যান’।
এই অনুরোধের নেপথ্যে যুক্তিও দেখিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, মানুষ হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানো তাঁর কর্তব্য। সেই দায়িত্ব প্রতি মুহূর্তে পালন করছেন, করবেনও। এ বার বাকিদের পালা। তাঁর মতে, ‘আমরা’ বাঁচবে ‘আমাদের সহযোগিতায়।’ কেউ না কেউ কাউকে বাঁচাচ্ছেন। এই ‘কাউকে’ এবং ‘জীবন’ বাঁচাতে অন্য কাউকে পাশে থাকতেই হবে।
বলিউডের মতোই টলিউড তারকারও অতিমারি রুখতে প্রতি মুহূর্তে সাধারণ মানুষদের পাশে। কেউ নতুন তথ্য ভাগ করছেন তো কেউ অক্সিজেনের কথা জানাচ্ছেন। কেউ খালি শয্যার হদিশ। চিকিৎসকদের যোগাযোগ নম্বর দিয়েও সাহায্য করেছেন অনেক তারকা। এই চিকিৎসকেরা নিজের বাড়িতে নিভৃতবাসে থাকা আক্রান্তদের মুঠোফোনে পরামর্শ দিচ্ছেন একদম বিনামূল্যে। ইতিমধ্যেই প্লাজমা দিয়েছেন রুক্মিণী মৈত্র। তিনি কোভিড যোদ্ধাও।
হাসপাতালে শয্যা না পাওয়া রোগীদের জন্য সাময়িক বিশেষ সেন্টার তৈরি করেছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, অনুপম রায়, পিয়া চক্রবর্তী, ঋদ্ধি সেন, ঋতব্রত মুখোপাধ্যায় সহ এক ঝাঁক তারকা। একই ভাবে উল্লেখযোগ্য পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ও। গত এক মাস ধরে তাঁর সামাজিক পাতায় শুধুই হাসপাতালের খোঁজ। অক্সিজেন সিলিন্ডার কোথায় পাওয়া যাবে? চাইলেই প্লাজমা পাবেন কোথায়? হদিশ দিয়ে চলেছেন তিনিও। এমনকি, নিভৃতবাসে থাকাকালীন কেউ যাতে অভুক্ত না থাকেন, সে দিকেও তাঁর নজর।
তালিকায় আছেন আছেন আবির চট্টোপাধ্যায়, অরিন্দম শীল, বিরসা দাশগুপ্ত, সুদীপ্তা চক্রবর্তী, বিক্রম চট্টোপাধ্যায়ও। করোনা আক্রান্ত অনসূয়া মজুমদারও অসুস্থ অবস্থাতেই নেটমাধ্যমে পৌঁছে যাচ্ছেন ঘরে ঘরে। এঁরা সবাই প্রতি মুহূর্তে হদিশ দিচ্ছেন চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য আর যোগাযোগ নম্বরের।