‘ম্যায় হুঁ না’ ছবিতে শাহরুখ খান ও সুস্মিতা সেন। ছবি: সংগৃহীত।
বিনোদনের জগতে তাঁর পথচলা শুরু ব্রহ্মাণ্ডসুন্দরীর খেতাব জিতে। নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে বলিউডে অভিনেত্রী হিসাবে পা রাখেন সুস্মিতা সেন। ‘বিবি নম্বর ১’, ‘আঁখে’, ‘সময়: হোয়েন টাইম স্ট্রাইক্স’-এর মতো ছবিতে কাজ করে অভিনেত্রী হিসাবে নিজের জায়গা তৈরি করার পরে শাহরুখ খানের সঙ্গে ‘ম্যায় হুঁ না’ ছবিতে জুটি বেঁধেছিলেন সুস্মিতা। শাহরুখের মতো তাবড় তারকার বিপরীতে অভিনয়, তার পরেও নিজের চরিত্রে সাবলীল ও সপ্রতিভ ছিলেন সুস্মিতা। ছবিতে নিজের কাজের জন্য ভরপুর প্রশংসাও পেয়েছিলেন অভিনেত্রী। তা সত্ত্বেও, ওই ছবির কথা মনে পড়লেই এখনও সুস্মিতার গলায় শোনা যায় অভিমানের সুর। কেন?
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সুস্মিতা জানান, নৃত্যপ্রশিক্ষক ফারহা খানের অনুরোধে তাঁর পরিচালিত ছবিতে কাজ করেছিলেন তিনি। পরিচালক হিসাবে ফারহার প্রথম ছবি বলে কথা, তাঁর অনুরোধ ফেরাতে পারেননি সুস্মিতা। তবে ছবি মুক্তি পাওয়ার পরে বেশ মুষড়ে পড়েছিলেন অভিনেত্রী। সুস্মিতা জানান, ছবিতে তাঁর চরিত্র ছোট হলেও চাঁদনি চোপড়ার চরিত্রের বলিষ্ঠতা আকৃষ্ট করেছিল তাঁকে। সে কথা মাথায় রেখেই ওই চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। একে ছোট চরিত্র, তার উপরে ছবি সম্পাদনার সময় বাদ পড়েছিল সুস্মিতার অভিনীত একাধিক দৃশ্য। ফলে, ছবির ‘ফাইনাল কাট’-এ সুস্মিতার চরিত্রের সময় আরও কমে গিয়েছিল। সুস্মিতা বলেন, ‘‘ফারহা আমাকে ফোন করে ক্ষমা চেয়েছিল, কারণ ছবির সম্পাদনার সময় আমার চরিত্রের বহু দৃশ্য বাদ পড়ে গিয়েছিল। এ দিকে, ছবির পোস্টারে আমি আর শাহরুখ রয়েছি। সেই পোস্টারে ছেয়ে গিয়েছে মুম্বই। আমাকে যশজি (যশ চোপড়া) ফোন করছেন। আমি তো ভয়ে ভয়ে ফোন ধরতাম তখন।’’
আদৌ কি ফারহাকে ক্ষমা করেছিলেন সুস্মিতা? অভিনেত্রী বলেন, ‘‘আমি ফারহাকে পরে বলেছিলাম, ‘আমি জানি তুমি তোমার কথা রেখেছ, এখন আর এটা নিয়ে চিন্তা করে লাভ নেই।’ এ দিকে আমি তখন মনে মনে ভাবছি, আমি তো সত্যিই ছবিটায় প্রায় নেই বললেই চলে!’’ ২০০৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ম্যায় হুঁ না’ দর্শকের মন জয় করেছিল। বক্স অফিসেও বেশ সফল ওই ছবি। চাঁদনি চোপড়াকেও এখনও মনে রেখেছেন অনুরাগীরা। তা-ও, এখনও ‘ম্যায় হুঁ না’-র কথা উঠলেই কোথাও যেন আক্ষেপের সুর থাকে সুস্মিতার গলায়।