ধারাবাহিক ‘অপরাজিতা অপু’-তে সুস্মিতা দে।
অপু মানেই যেন পাগলা ঝোরা। ধারাবাহিক ‘অপরাজিতা অপু’-তে সে সারাক্ষণ দৌড়ে বেড়াচ্ছে, লাফাচ্ছে। নয়তো হইচই করে বাড়ি মাথায় করে ফেলছে। বাপের বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়ি, সর্বত্রই সে এক রকম। সেই মেয়ে প্রায় গত এক মাস শান্ত, লক্ষ্মীটি! সারাক্ষণ চুপচাপ বসে। এমনকি হেঁটে হেঁটেও কোথাও যাচ্ছে না। দীপুর কোলে চাপছে! দর্শকেরা যদিও মহাখুশি। এই সুযোগে অপু-দীপুর মিলন হয়েছে।
অপু ওরফে সুস্মিতা দে-ও কি খুশি? সারাক্ষণ হুড়োহুড়ির বদলে হুইলচেয়ারে বসে অভিনয় করার সুযোগ পেয়ে? ‘দীপু’ ওরফে রোহন ভট্টাচার্যের কোলে চেপেই বা কেমন লাগল?
আনন্দবাজার অনলাইনের প্রশ্ন শুনে হেসে ফেলেছেন ছোট পর্দার ‘অপরাজিতা’। ঠিক পর্দার ‘অপু’র ভঙ্গিতেই বলেছেন, ‘‘একটানা দাঁড়িয়ে অভিনয়ের পরে বেশ কিছু দিন বসতে পারলাম। খুব খারাপ লাগেনি কিন্তু।’’ আরও যোগ করলেন, বসার সুযোগ পেয়ে তিনি নাকি চট করে উঠে দাঁড়ানোর নামও করতেন না! ‘‘যতক্ষণ পারতাম, হুইল চেয়ারেই বসে থাকতাম। আহঃ কী আরাম!’’, বক্তব্য তাঁর। বসে অভিনয় কি দাঁড়িয়ে অভিনয়ের থেকে বেশি শক্ত? মানতে নারাজ অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, অভিনয় জানলে সব ভাবেই করা যায়। তবে পুজোর দৃশ্য শ্যুটের সময় একটু মনখারাপ করত নাকি তাঁর। ‘‘সবাই কেমন সেজেগুজে দাঁড়িয়ে অভিনয় করতেন! আর বসে থাকায় আমার সুন্দর সাজ কেউ ভাল করে দেখতেই পেত না। তবু সাজতে ছাড়িনি’’, বললেন তিনি।
রোহনের কোলে চেপেও নাকি দারুণ মজা পেয়েছেন সুস্মিতা। চিত্রনাট্য অনুযায়ী গাড়ি দুর্ঘটনার পরে কিছু দিন হাঁটতে পারবে না অপু। তখন সে দীপুর কোলে চেপে সব জায়গায় যাবে। বলতে বলতে ফের হাসি অভিনেত্রীর। ফাঁস করলেন, ‘‘প্রদীপ জ্বালানোর দৃশ্য ছিল। রোহনের গলা না জড়িয়ে প্রদীপ জ্বালাতে হবে। কয়েক সেকেন্ড এ ভাবে থাকার পরেই রোহনের নাকি সে কী কাকুতি-মিনতি, ‘‘এক্ষুনি নাম। আর তোকে কোলে নিয়ে থাকতে পারছি না!’’ ‘অপু’ কি খুব ভারী? ‘‘না না! আমি বেশ হালকা। আসলে ওর পক্ষেও এ ভাবে অভিনয় করতে অসুবিধে হচ্ছিল। তখন আবার গলা জড়িয়ে বাকি শটগুলো দিয়েছি’’ খোলসা করলেন অভিনেত্রী। বেশ কিছু দিন অসুস্থ থাকার পরে অপু আগের মতোই সুস্থ। সুস্মিতা জানাচ্ছেন, তিনিও হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন! একটানা বসে থেকে শেষের দিকে একঘেয়েমিতে ভুগছিলেন।
তার পরেই দুষ্টুমি মাখানো মন্তব্য, টানা দাঁড়িয়ে অভিনয়ের পর এ ভাবে ‘দীপু’র কোলে চাপতে পারলে বেশ হয়!