দিয়া মির্জার দ্বিতীয় বিয়ের পরে তাঁর সঙ্গে খবরে উঠে এসেছেন তাঁর স্বামীর প্রাক্তন স্ত্রী সুনয়না রেখি। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর পোস্টের দৌলতে তাঁকে ঘিরে নেটাগরিকদের আগ্রহ তুঙ্গে।
ব্যবসায়ী বৈভব রেখির প্রাক্তন স্ত্রী সুনয়না পেশায় যোগ প্রশিক্ষক এবং ওয়েলনেস থেরাপিস্ট।
নেটমাধ্যমে খুবই জনপ্রিয় সুনয়না। তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা ছাপিয়ে গিয়েছে ৯০ হাজার। তিনি নিজেও প্রায় ১ হাজার জনের ইনস্টা হ্যান্ডল অনুসরণ করেন। সুনয়নার নিজের ইনস্টাগ্রামে ১৬০০-র বেশি ছবি এবং ভিডিয়ো আছে।
বৈভব-দিয়ার বিয়ে উপলক্ষে আবার সকলের কৌতূহলের কেন্দ্রে চলে এসেছেন সুনয়না। অনেকেই তাঁর কাছে জানতে চেয়েছেন প্রাক্তন স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে তাঁর কী বক্তব্য?
সুনয়না জানিয়েছেন, তিনি একদম ঠিক আছেন। তা ছাড়া এই বিয়ে নিয়ে তাঁর এবং বৈভবের মেয়ে সামাইরা খুবই উত্তেজিত। সামাইরা বিয়ের আসরে খুব আনন্দও করেছে বলে জানান সুনয়না।
নবদম্পতিকে পুষ্পবৃষ্টি করার রীতিতে সামাইরার অংশগ্রহণ ভাল লেগেছে সুনয়নার। তাঁর কথায়, এ বার সামাইরা অন্তত একটা পরিবার পেল।
পাশাপাশি, দাম্পত্যে ভালবাসা দেখতে পাওয়াটাও সামাইরার জন্য খুব দরকার বলে জানিয়েছেন সুনয়না। ছোটবেলায় সে তার বাবা-মায়ের মধ্যে সুসম্পর্ক দেখতে পায়নি। আক্ষেপ, সুনয়নার।
বৈভব-দিয়ার বিবাহিত জীবন সামাইরাকে তার জীবনের পথে সুন্দর ভাবে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে বলে মনে করেন দিয়া। নতুন জীবনের জন্য বৈভব-দিয়া-সামাইরাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
মডেল এবং অভিনেত্রী দিয়ার বাবা ফ্র্যাঙ্ক হ্যান্ড্রিচ ছিলেন জার্মানির ইন্টিরিয়র ডিজাইনার এবং আর্কিটেক্ট। তাঁর মা দীপা বাঙালি। তিনিও পেশায় এক জন ইন্টিরিয়র ডিজাইনার।
‘রেহনা হ্যায় তেরে দিল মেঁ’, ‘দীওয়ানাপন’, ‘তুমকো না ভুল পায়েঙ্গে’, ‘তুমসা নেহি দেখা’, ‘মাই ব্রাদার…নিখিল’, ‘ব্ল্যাকমেল’, ‘লাক বাই চান্স’, ‘ববি জাসুস’, ‘সঞ্জু’, ‘থাপ্পড়’-সহ একাধিক বক্সঅফিস সফল ছবির নায়িকা দিয়া এর আগে বিয়ে করেছিলেন তাঁর বিজনেস পার্টনার সাহিল সঙ্ঘকে।
২০১৪ সালে বিয়ে করেছিলেন সাহিল এবং দিয়া। ৫ বছর পরে ভেঙে যায় তাঁদের দাম্পত্য। বিচ্ছেদের পরে দিয়া নিজের প্রোডাকশন হাউস ‘ওয়ান ইন্ডিয়া স্টোরিজ’ শুরু করেন।
বিচ্ছেদের ২ বছর পরে দিয়া বিয়ে করলেন বৈভবকে। তাঁদের বিয়ের পরিবেশবান্ধব অনুষ্ঠান নজর কেড়েছে নেটাগরিকদের।