(বাঁ দিকে) কর্ণ জোহর, জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ় ও সুকেশ চন্দ্রশেখর (ডান দিকে) ছবি: সংগৃহীত।
কর্ণ জোহরের প্রযোজনা সংস্থার অর্ধেক শেয়ার কিনেছেন ‘সেরাম ইনস্টিটিউট’-এর কর্ণধার আদার পুনাওয়ালা। কিন্তু এর মধ্যেই কর্ণের সংস্থার শেয়ার কেনার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন আর্থিক প্রতারণায় অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখর। জেল থেকে কর্ণকে চিঠি লিখে তিনি সংস্থার শেয়ার কেনার ইচ্ছের কথা জানিয়েছেন।
বহু দিন ধরেই জল্পনা চলছিল, ধর্মার অংশীদার কে হবেন। এই খবর পৌঁছয় সুকেশের কাছেও। তাই তিনি কর্ণকে লেখেন, “আমার আর্থিক উপদেষ্টা জানিয়েছেন, ধর্মা সংস্থা একজন বিনিয়োগকারীর খোঁজ করছে। ধর্মার অধিকাংশ অংশ কেনার উদ্দেশ্য নিয়ে আপনাকে লিখছি।” জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ়ের চর্চিত প্রেমিক জানান, তাঁর সংস্থা এলএস হোল্ডিংস-এর বার্ষিক আয় ৬৩০০ কোটি টাকা। এই সংস্থার আওতায় একটি চলচ্চিত্র প্রযোজনা সংস্থাও রয়েছে, যেটি দক্ষিণ ভারতের ৭০টি ছবির প্রযোজনা করেছে।
তিনি নাকি ছবি দেখতে খুবই ভালবাসেন। শুধু ব্যবসা নয়। ছবির প্রতি নিজের ভালবাসার জন্যই ধর্মার অংশীদার হওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন, দাবি সুকেশের। নিজের কারাবাসের কথাও চিঠিতে উল্লেখ করেন তিনি। সুকেশের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এই মুহূর্তে তিনি যে আইনি মামলায় ফেঁসে রয়েছেন তা নাকি পুরোপুরি ভিত্তিহীন। এর পিছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে বলেও তাঁর দাবি।
সুকেশ চিঠিতে লিখেছেন, “আমি বুঝি, আমাকে নিয়ে নানা রকমের নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ। আমি ব্যক্তিগত ভাবে সবটা সামলাচ্ছি। কিন্তু আমার কোনও কাজই বেআইনি নয়। কর দেওয়া থেকে শুরু করে সব কিছুতেই আমরা আইন মেনেছি। আসলে যে মামলাগুলি আমার বিরুদ্ধে রয়েছে সেগুলি পুরোপুরি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের ফলাফল। কোনও মামলাই প্রমাণিত হয়নি আমার বিরুদ্ধে। আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার উদ্দেশ্যেই এগুলি করা হচ্ছে।”
ধর্মার ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ শেয়ার কিনে নেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন সুকেশ চন্দ্রশেখর। তিনি লিখেছেন, “আমি ও আমার পরিবার ধর্মার বড় অনুরাগী। বিশেষ করে ব্যক্তি কর্ণ জোহরকে খুব পছন্দ করি। আমার জীবনের ভালবাসা জ্যাকলিনেরও আপনার প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা। আপনিও সেটা ভাল ভাবেই জানেন। তাই আপনার পরিবারের অংশ হয়ে ওঠা আমার কাছে সম্মানের হবে।”
সুকেশের বিশ্বাস, অন্য বিনিয়োগকারীদের প্রস্তাব পছন্দ হয়নি কর্ণের। তাই জ্যাকলিনের প্রেমিকের অনুরোধ, “আমি তো আছি! আমার টাকা নিন।”
উল্লেখ্য, সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে সম্পর্কে থাকায় বিতর্কে নাম জড়ায় জ্যাকলিনেরও। কারাবাসে থাকলেও প্রেমিকার জন্য নিয়মিত ভালবাসার বার্তা পাঠান সুকেশ।