সৌরভ চক্রবর্তী ও মধুমিতা সরকার
বলিপাড়ায় একটি চলতি কথা আছে, বিচ্ছেদের পরে প্রাক্তন যুগল একসঙ্গে পর্দায় এলে সেই ছবি দর্শক বেশি পছন্দ করেন। শাহিদ-করিনার ‘যব উই মেট’ থেকে শুরু করে রণবীর-দীপিকার ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’। টলিপাড়ার এমনই একদা জনপ্রিয় জুটির কথা মনে করে অভিনেতা সৌরভ চক্রবর্তীকে প্রশ্ন করা হল, মধুমিতা সরকারের সঙ্গে বিচ্ছেদের আড়াই বছর পরে তাঁর সঙ্গে কাজের সুযোগ এলে? করবেন তো? আনন্দবাজার অনলাইনকে কী বললেন সৌরভ?
স্ত্রী (খাতায় কলমে তাঁরা আজও স্বামী-স্ত্রী) মধুমিতার সঙ্গে কাজ করার প্রসঙ্গে সাফ জানিয়ে দিলেন, তিনি এতটাও পেশাদার হতে পারবেন না। সৌরভের ধারণা, তাঁর মতো মধুমিতারও অস্বস্তি হবে একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে। তিনিও রাজি হবেন না। সৌরভের কথায়, ‘‘আমার কাছে আড়াই ঘণ্টার ছবির সাফল্যের চেয়ে একসঙ্গে জীবন যাপন করার সাফল্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমার মা ও বাবা ঠিক যে ভাবে সারা জীবন কাটিয়েছে। আড়াই ঘণ্টার জন্য এটা করতে চাই না। প্রয়োজন নেই বলেই মনে হয় আমার।’’
একইসঙ্গে তিনি জানালেন, হাতে অনেক কাজ তাই এ সব নিয়ে আপাতত ভাবতে চান না। সম্প্রতি পরিচালক অঞ্জন দত্তের প্রথম ওয়েব সিরিজের ট্রেলার মুক্তি পেয়েছে। ‘মার্ডার ইন দ্য হিলস’-এ এক জন পরিচালকের ভূমিকায় দেখা যাবে সৌরভকে। অঞ্জন দত্তের সঙ্গে কাজ করে অত্যন্ত খুশি সৌরভ। তা ছাড়া নিজের প্রযোজনা সংস্থা থেকে একটি ওয়েব সিরিজ পরিচালনা করবেন তিনি। তার কাজ চলছে। সারা রাত জাগতে হচ্ছে সৌরভকে।
পরিচালনা ও অভিনয়— দু’টোই চলছে সমান তালে। একইসঙ্গে কবিতাও লেখেন সৌরভ। তাঁর ইনস্টাগ্রামে চোখ রাখলেই সেই কথা স্পষ্ট। মাঝে মাঝেই দু’চার পংক্তি লিখে পোস্ট করেন তিনি। ভিডিয়ো বানিয়ে কবিতাও পড়েন। সাহিত্য, চলচ্চিত্র ইত্যাদি চর্চার মধ্যে দিয়েই সময় কাটাতে চান। আর তাই হয়ত আগামী দিনে প্রেম নিয়েও ভাবতে রাজি নন। বিয়ে তো দুরস্ত, প্রেমে পড়ার বা প্রেম করার মানসিকতায় নেই তিনি। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন আনন্দবাজার অনলাইনকে।