একের পর এক চরিত্র হাতছাড়া। তার পর প্রচার ঝলক থেকেও বাদ! এ বার সম্ভবত রাজ চক্রবর্তীর নতুন ধারাবাহিক ‘গোধূলি আলাপ’ থেকেই বাদ পড়তে চলেছেন সৌমিলি বিশ্বাস। টলিপাড়ায় এমনই গুঞ্জন। কেন এ রকম ঘটছে? জানতে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল অভিনেত্রীর সঙ্গে।
কেন পাল্টাল সৌমিলি-রাজের সমীকরণ?
একের পর এক চরিত্রের জন্য ডাক। একের পর এক চরিত্র হাতছাড়া। তার পর প্রচার ঝলক থেকেও বাদ! এ বার সম্ভবত রাজ চক্রবর্তীর নতুন ধারাবাহিক ‘গোধূলি আলাপ’ থেকেই বাদ পড়তে চলেছেন সৌমিলি বিশ্বাস। টলিপাড়ায় এমনই গুঞ্জন।
কেন এ রকম ঘটছে? জানতে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল অভিনেত্রীর সঙ্গে। ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সৌমিলি। তাঁর কথায়, ‘‘প্রথম ডাক পাই কৌশিক সেনের প্রেমিকার চরিত্রে। খলনায়িকার ভূমিকায়। যার সঙ্গে কৌশিকদার প্রেম হবে কিন্তু বিয়ে হবে না। কোনও দিন খলনায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করিনি। ফলে, এক কথায় রাজি হয়ে যাই।’’
অভিনেত্রীর দাবি, কিছু দিনের মধ্যেই সেই চরিত্রের বদলে তাঁকে ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়ের বিপরীতে অভিনয়ের কথা বলা হয়। সৌমিলি তাতেও রাজি হন। যুক্তি, ‘‘আমি আর ভাস্বর এক সঙ্গে অনেক কাজ করেছি। আমাদের জুটিও দর্শকদের পছন্দ। তাই আপত্তি করিনি।’’ চিত্রনাট্য অনুযায়ী, ভাস্বর-সৌমিলির ছোট একটি মেয়ে থাকবে। খলনায়িকার মতোই এই চরিত্রও কি সমান গুরুত্বপূর্ণ? সেই সময় প্রযোজনা সংস্থাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন অভিনেত্রী। তাঁকে আশ্বস্ত করে বলা হয়, তাঁর গুরুত্ব একটুও কমবে না। তার পরেই অভিনেত্রী আবিষ্কার করেন, ধারাবাহিকের প্রচার ঝলক থেকেই বাদ তিনি! অথচ, ভাস্বর-সহ বাকিরা রয়েছেন। তখনও বুঝতে পারেননি, কী ঘটতে চলেছে।
হঠাৎই সৌমিলি জানতে পারেন, আবারও চরিত্র বদল। তাঁকে ভাস্বরের বিধবা বোন হতে হবে। যার ১৪ বছরের একটি মেয়ে! সৌমিলির ভূমিকায় অভিনয় করবেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। যিনি ভাস্বরের বোন হবেন বলে ঠিক হয়েছিল। তিনি প্রচার ঝলকেও ছিলেন।
আর মেনে নিতে পারেননি অভিনেত্রী। সরাসরি জানিয়ে দেন, তিনি এই চরিত্রে অভিনয় করতে রাজি নন। কী কারণে এই ব্যবহার পেলেন সৌমিলি? কেনই বা পেলেন? জবাবে তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমি জানি না, কার নির্দেশে আমায় এতটা অপমানিত হতে হল।’’ পাল্টা প্রশ্নও তুলেছেন, ‘‘২৫ বছর ধরে অভিনয় করছি। কখনও কারওর সঙ্গে সমস্যায় জড়াইনি। তার পরেও যদি এই আচরণের শিকার হতে হয় তা হলে আগামী দিনে শিল্পীরা আদৌ সম্মান পাবেন?’’
এর পরেই তিনি অভিযোগের আঙুল তুলেছেন স্টার জলসার দিকে। বলেছেন, ‘‘এত দিন ধরে কাজ করছি। আজ পর্যন্ত কোনও দিন এই চ্যানেল থেকে কাজের জন্য আমায় ডাকা হয়নি। ব্যতিক্রম এক বার। বছর কয়েক আগে একটি ধারাবাহিকে নায়কের মায়ের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য ডাকা হয়েছিল!’’ সৌমিলির প্রশ্ন, তিনি কি নায়কের মায়ের বয়সে অভিনয়ের জায়গায় পৌঁছে গিয়েছেন? যে দিন পৌঁছবেন সে দিন তিনি নিজে থেকেই এই ধরনের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য বলবেন। বদলে তিনি সাধুবাদ জানান জি বাংলাকে। দাবি, ‘‘ছোট পর্দায় আমার সমস্ত কাজ জি বাংলার সঙ্গে। চ্যানেল কর্তৃপক্ষ ধারাবাহিক ‘লোকনাথ ব্রহ্মচারী’তে আমায় লোকনাথের মা হিসেবে দেখিয়েছিলেন। তাও আমার অনুরোধে সাধকের ১১ বছর বয়সেই আমার চরিত্রটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফের পুনর্জন্ম হয় আমার। কারণ, আমি জানতাম এক বার গায়ে এই তকমা লেগে গেলে মুশকিল।’’
সৌমিলির ক্ষোভ, সেই দেখে কেউ যদি ভেবে নেন, তিনি এ বার মা-মাসির চরিত্রে উপযুক্ত তা হলে ভুল ভেবেছেন। তাঁর সমসাময়িক বাকিদের এখনও এই ধরনের চরিত্রে দেখা যায়নি!