Joe Jonas-Sophie Turner Feud

বিচ্ছেদ বিতণ্ডায় সন্তানদের নিয়ে টানাটানি! শেষ পর্যন্ত কার কাছে জিম্মায় জো-সোফির দুই মেয়ে?

গত ৬ সেপ্টেম্বর বিচ্ছেদ ঘোষণা করেছেন পপ তারকা জো জোনাস এবং অভিনেত্রী সোফি টার্নার। বিচ্ছেদের পরে দুই প্রাক্তনের মধ্যে বেড়েছে তিক্ততা। সন্তানদের নিয়েও বিস্তর টানাটানি চলছে জো ও সোফির মধ্যে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
নিউ ইয়র্ক শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৭:২২
Sophie Turner and Joe Jonas.

সোফি টার্নার ও জো জোনাস। ছবি: সংগৃহীত।

তিন বছরের প্রেম ও তার পরে চার বছরের দাম্পত্য জীবন। সেই সম্পর্কে চিড় ধরেছে সদ্য। বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পপ তারকা জো জোনাস ও ‘গেম অফ থ্রোন্‌স’ খ্যাত অভিনেত্রী সোফি টার্নার। চার বছর আগে এক বার নয়, দু’বার একে অপরের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন জো এবং সোফি। খবর, সম্পর্কে তিক্ততার কারণেই নাকি বিবাহবিচ্ছেদের কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন জো। তবে তাঁদের এই বিচ্ছেদে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে তাঁদের দুই কন্যা। বিবাহবিচ্ছেদের প্রক্রিয়ার মধ্যেই সন্তানদের নিয়ে রীতিমতো টানাটানি শুরু হয়েছে জো ও সোফির মধ্যে। দিন কয়েক আগেই শোনা গিয়েছিল, দুই সন্তানকে আটকে রাখার অভিযোগে জোয়ের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করেছেন সোফি। এখন খবর, জো ও সোফির দুই সন্তান কোথায় থাকবে, তা নিয়ে এক প্রকার সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে আদালত। সেই সিদ্ধান্তে নাকি সম্মতি জানিয়েছেন প্রাক্তন যুগলও।

Advertisement
সন্তাদের নিয়ে জো জোনাস ও সোফি টার্নার।

সন্তাদের নিয়ে জো জোনাস ও সোফি টার্নার। ছবি: সংগৃহীত।

খবর, আপাতত আমেরিকার নিউ ইয়র্ক ও তার আশপাশেই জো ও সোফির দুই সন্তানকে রাখার পরামর্শ দিয়েছে আদালত। নিউ ইয়র্ক সিটি, লং আইল্যান্ড, হাডসন ভ্যালির মতো কোনও একটি জায়গায় থাকতে পারে তারা। আদালতের এই সিদ্ধান্তে সম্মতি জানিয়েছেন জো ও সোফিও। এই নির্দেশ অমান্য করলে সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে কড়া পদক্ষেপ করতে পারে আদালত, সেই হুঁশিয়ারিও এখনও থেকেই দিয়ে রেখেছেন বিচারক। এমনকি, পরিস্থিতি বিবেচনা করে জো ও সোফির থেকে সন্তানদের দূরে রাখার সিদ্ধান্তও নিতে পারে আদালত বলে জানা যাচ্ছে।

২০১৯ সালে বিয়ের পরে ২০২০ সালে প্রথম কন্যাসন্তানের জন্ম দেন সোফি। তার পরে ২০২২ সালে প্রাক্তন দম্পতির কোলে আসে দ্বিতীয় কন্যাসন্তান। বিচ্ছেদের পর দুই সন্তান কার কাছে থাকবে, তাই নিয়ে ঝামেলা শুরু হয় জো ও সোফির মধ্যে। জো আমেরিকার নাগরিক হলেও সোফি আদতে ইংল্যান্ডে বাসিন্দা। জোয়ের সঙ্গে বিয়ের পর সোফি আমেরিকায় এলেও বার বার দেশের টানে ইংল্যান্ডে ফিরেছেন। তাঁর দুই মেয়ে ইংল্যান্ডে বড় হোক, এমনটাই চান সোফি। এ দিকে জো নাছোড়বান্দা। তাঁর দাবি, তাঁদের দুই সন্তানের জন্ম আমেরিকায়। আমেরিকান নাগরিক হিসাবে তারা সেখানেই বড় হবে, এই যুক্তিতে চাপ দিতে থাকেন জো। জোয়ের বিরুদ্ধে সোফি অভিযোগ করেন, দুই মেয়ের পাসপোর্ট নাকি লুকিয়ে রেখেছেন জো, যাতে সন্তানদের ইংল্যান্ডে নিয়ে যেতে না পারেন অভিনেত্রী। সন্তানদের উপর যাতে তাদের মা-বাবার এই তিক্ত বিচ্ছেদ প্রক্রিয়ার প্রভাব না পড়ে, সে কথা মাথায় রেখে জো ও সোফিকে ‘পেরেন্টিং ক্লাস’-এ যাওয়ার নিদান দিয়েছিলেন বিচারক।

আরও পড়ুন
Advertisement