যিশু সেনগুপ্ত ও শোলাঙ্কি রায়।
নরম আলোয় একে অপরের ঘনিষ্ঠ হচ্ছেন তাঁরা। যিশু সেনগুপ্ত ও শোলাঙ্কি রায়। শোলাঙ্কির গালে আঙুলে আদর আঁকছেন যিশু। আর সেই দৃশ্যের মধ্যেই মিশে যাচ্ছে কথারা— ‘সঙ্গোপনের সুখ ইচ্ছে অহেতুক/স্বপ্নে আমার খুঁজেছি তোকেই’। এই ভরা প্রেমের খোঁজে শুধু শোলাঙ্কি আর যিশু নয়, শ্রোতারাও এখন উৎসুক। ঈশান মিত্রের কণ্ঠে এই গান, 'রংমশাল' ইতিমধ্যেই আলো জ্বালিয়ে দিয়েছে নেটমাধ্যমে। আনন্দবাজার অনলাইনকে 'বাবা বেবি ও...' ছবির অভিনেত্রী শোলাঙ্কি রায় যেমন বললেন, “কী অপূর্ব গান। খুব দ্রুত আমি আর যিশুদা গানের জন্য স্টেপসগুলো বুঝে নিয়ে শট দিয়েছি। বিভিন্ন জায়গার দৃশ্য রাখা হয়েছে এই গানে। কিন্তু এত দ্রুত যে একটা গানের এমন আলো আর ক্যামেরা নিয়ে শ্যুট করা যায়, ভাবতে পারিনি।”
ভাবতে অনেক কিছুই পারেননি শোলাঙ্কি। যিশু সেনগুপ্তর মতো খ্যাতনামীর সঙ্গে জুটি বেঁধে প্রথম ছবিতে কাজ! প্রসঙ্গ উঠতেই আদুরে গলায় বললেন, “অনেকেই বলছে, আমাকে আর যিশুদাকে পাশাপাশি দেখতে খুব ভাল লাগছে। তবে প্রথম দিকে যিশুদার মতো স্টারের সঙ্গে কাজ করতে ভয় পেতাম। পরে দেখলাম চমৎকার মানুষ।”
রিতম সেনের কথা আর অমিত-ঈশানের সংগীত ভাবনায় এই ‘রংমশাল’ যে বহু দূর হাঁটবে, তার আভাস স্পষ্ট। যিশুর সঙ্গে প্রেম করে কেমন লাগল? খানিক হেসে ধারাবাহিকের ‘কাদম্বিনী’ বললেন, “যিশুদা আমার ক্রাশ ছিল। সেই কবে থেকে ওর ছবি দেখছি! তবে প্রেমের দৃশ্য করার আগে যিশুদা আর আমি বন্ধু হয়ে গিয়েছিলাম। তাই অভিনয় সহজ হয়েছে।”
‘বাবা বেবি ও…’ কি তবে অসম বয়সের প্রেমের গল্পের ইঙ্গিত দেয়? সম্মতি জানিয়ে শোলাঙ্কি বললেন, “প্রেম বিষয়টা সহজাত। কার কখন কেমন করে প্রেম হবে, বলা যায় না। আমাদের সমাজ এখনও অসম বয়সের প্রেম, সমকামী প্রেমকে স্বাভাবিক ভাবে দেখে না।” শোলাঙ্কির আশা, ৪ ফেব্রুয়ারির পরে এই ছবি দেখে অনেকেই হয়তো অসম বয়সের প্রেমের স্বাভাবিকত্বকে বুঝতে পারবেন।