(বাঁ দিকে) বিবৃতি চট্টোপাধ্যায় এবং সোহম মজুমদার। ছবি: নিজস্ব চিত্র।
অন্ধকারে মোমের আলোয় হবে প্রতিবাদ, কালোর ভিতর জ্বলবে প্রতিবাদের আগুন। জুনিয়র চিকিৎসক আবেদনে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে সাড়া দিয়েছে নাগরিক সমাজ। শ্যামবাজারের পাঁচ মাথার মোড় থেকে যাদবপুর কিংবা কোচবিহার, শহর থেকে জেলায় ১৪ অগস্টের পর ফের ‘রাত দখল কর্মসূচি’। ৪ সেপ্টেম্বরের কর্মসূচিতেও সাড়া দিলেন তারকারা। মোমবাতি হাতে পথে নেমেছেন তাঁরা। মুম্বই থেকে ছুটে এলেন সোহম মজুমদার। তাঁকে দেখা গেল তাঁর চর্চিত বান্ধবী, অভিনেত্রী শোলাঙ্কি রায়ের সঙ্গে। শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে দাঁড়িয়ে মুম্বই থেকে কলকাতায় ছুটে আসার কারণ জানালেন আনন্দবাজার অনলাইনকে।
১৪ অগস্ট হোক কিংবা ১ সেপ্টেম্বর, এখন পর্যন্ত যতগুলি প্রতিবাদ মিছিল হয়েছে কলকাতা শহরে, অনেক মিছিলেই দেখা গিয়েছে শোলাঙ্কিকে। ‘কবীর সিংহ’ ছবি খ্যাত অভিনেতা সোহমের সঙ্গে তাঁর প্রেমের গুঞ্জন দীর্ঘ দিন। যদিও সে বিষয়ে কখনও কোনও মন্তব্য করেননি দু’পক্ষের কেউই। তবে, আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে যখন উত্তাল কলকাতা, সেই সময় মুম্বইয়ে ছিলেন সোহম। এ বার আর চুপ করে বসে থাকতে পারেননি বলেই জানিয়েছেন। পাশপাশি আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারি নিয়ে বলেন, ‘‘সন্দীপ একটা চারা। আরও বড় গাছ রয়েছে এদের মাথায়, সেই গাছটাকে নাড়া দিতে হবে।’’ সোহমের সংযোজন, ‘‘মানুষ বড্ড রেগে আছে। আমরা সকলেই বিচার চাই। কারণ, সকলেই ভুল করেছি। ছোট ছোট করে পুরুষতন্ত্রকে বাড়তে দিয়েছি বলে এই অবস্থা। আমরা ভুল করলে ক্ষমা চাইতে জানি।’’
পাশপাশি সুপ্রিম কোর্টের কাছে সোহমের আর্জি, ‘‘তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে যেন নির্দোষ কেউ শাস্তি না পায়। এর পিছনে অনেক লোক লুকিয়ে। তাদের শাস্তি দরকার।’’ মঙ্গলবারই মুম্বই থেকে কলকাতা এসেছেন। সোহমের কথায়, ‘‘মুম্বইয়ের মানুষ আমাকে কলকাতায় আসতে বলেছেন। সকলেই ফুঁসছেন কলকাতার এই ঘটনায়। তবে, এই শহরের মানুষ দেখিয়ে দিয়েছেন তাঁদের শিরদাঁড়া এখনও সোজা। এখন আর কেউ এটা বলছে না, এই দেশের কিচ্ছু হবে না। সকলে পথে নেমে গিয়েছে।’’