ফাইল চিত্র।
অনেক দিন বাংলা ছবি রূপকথার গল্প বলেনি। আধুনিক যুগের রূপকথা। যেখানে রাজপুত্র থাকবে। রাজকন্যা থাকবে। রাক্ষস-খোক্কসও থাকবে। এই প্রজন্মের রূপ ধরে। তবে থাকবে না ব্যঙ্গমা-ব্যঙ্গমী। বদলে থাকবে হ্যারি পটার। যে কলকাতার রাস্তায় জাদু দেখাবে। গল্প শোনাবে কচিকাঁচাদের। শহরের বুকে প্রথম স্টোরি ক্যাফে খোলার স্বপ্ন দেখবে। আর এক দিন ঠিক ফিরিয়ে আনবে তাঁর অভিমানী রাজকন্যাকে। আর কী কী করবে? সেই গল্পই বলবে রাজদীপ ঘোষের ‘কলকাতার হ্যারি’। যেখানে একজোট প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, সোহম চক্রবর্তী, প্রিয়াঙ্কা সরকার, রাজ চক্রবর্তী!
শুক্রবার জন্মদিন ছিল সোহমের। ওই দিনই প্রকাশ্যে ছবির দ্বিতীয় পোস্টার। সাত রঙে রঙিন পোস্টারে রূপকথার দুনিয়ার রং ছড়িয়েছেন প্রযোজক-অভিনেতা। ট্যাগলাইন, ‘মেঘমুলুকে তোমরা যাবে, রামধনু রঙ কুড়িয়ে পাবে, শিখবে সবই সহজ ভাবে, এ রূপকথায়।’ পোস্টারে এক ঝাঁক নানা বয়সের শিশুর সঙ্গে ‘কলকাতার হ্যারি’ ওরফে হরিনাথ পাত্র। যিনি পেশায় স্কুলগাড়ির চালক। নেশায় হ্যারি পটারের মতোই জাদুকর। এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন সোহম। তাঁর স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা প্রিয়াঙ্কা ওরফে ‘মোহর’।
চার অভিনেতা ছাড়াও ছবিতে রয়েছেন লাবণি সরকার, অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায়, সুদীপা বসু, বাসন্তী চট্টোপাধ্যায় এবং ঐশী গুহঠাকুরতা। গানের দায়িত্বে জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ক্যামেরা সামলেছেন গোপী ভগৎ। সম্পাদনায় শুভজিৎ সিংহ। কাহিনী, চিত্রনাট্য, সংলাপে সৌম্য। নাচে ছবি জমিয়ে দেবেন বাবা যাদব। প্রযোজনায় সোহম এন্টারপ্রাইজ। নিবেদন সোহম চক্রবর্তী এবং ইন্দিরা চৌধুরী।