(বাঁ দিকে) ‘ইয়েস বস’ ছবির পোস্টারে শাহরুখ খান ও জুহি চাওলা। অভিজিৎ ভট্টাচার্য (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
সঙ্গীতশিল্পী অভিজিৎ ভট্টাচার্য বলিউডে বিস্তর জনপ্রিয় গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। তবে কেরিয়ারের শুরুটা মসৃণ ছিল না শিল্পীর। সম্প্রতি এই প্রসঙ্গে অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন গায়ক।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে অভিজিৎ জানিয়েছেন, কেরিয়ারের শুরুতে তাঁকে খুব একটা সুযোগ দিতে চাইতেন না সঙ্গীত পরিচালকেরা। কথা প্রসঙ্গেই ‘ইয়েস বস্’ ছবির উল্লেখ করেন তিনি। উল্লেখ্য, শাহরুখ খান ও জুহি চাওলা অভিনীত এই ছবিতে গান গাওয়ার জন্য নব্বইয়ের দশকে একাধিক পুরস্কার জেতেন অভিজিৎ। তিনি বলেন, ‘‘ধরা যাক, কোনও সঙ্গীত পরিচালক শাহরুখ খানের ছবিতে সুর করছেন, কিন্তু আমার পরিচিত হওয়া সত্ত্বেও তিনি আমাকে সুযোগ দিতে চাইতেন না।’’
একই সঙ্গে তিনি ‘ইয়েস বস্’ পরবর্তী সময়ের একটি ঘটনা জানান। অভিজিতের মতে, সে সময় ‘বর্ডার’, ‘দিল তো পাগল হ্যায়’, ‘পরদেশ’- এর মতো ছবি বক্স অফিসে ব্লকবাস্টার হয়েছে। কিন্তু ‘ইয়েস বস্’ জনপ্রিয় গানের নিরিখে অন্যান্য ছবির থেকে এগিয়ে ছিল। সে জন্য তাঁকে নাকি বহু অপমান সহ্য করতে হয়। অভিজিতের কথায়, ‘‘তার পর অনেক সঙ্গীত পরিচালক সরাসরি আমাকে বলেছিলেন যে, তাঁরা আমাকে দিয়ে গান গাওয়াতে চান না।’’
শাহরুখের সঙ্গে অভিজিতের মতানৈক্য পরেও প্রকাশ্যে এসেছে। ২০০৪ সালে মুক্তি পায় ‘ম্যায় হুঁ না’। এই ছবিতে টাইটেল সং গেয়েছিলেন অভিজিৎ। কিন্তু গায়ক হিসেবে তাঁকে যোগ্য সম্মান না দেওয়ার অভিযোগে সেই সময় শাহরুখের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দেন গায়ক। পরবর্তী জীবনে দু’জনের সম্পর্কের সমীকরণের নষ্ট হওয়া প্রসঙ্গে একাধিক বার মুখ খুলেছেন অভিজিৎ। সম্প্রতি এই প্রসঙ্গে তিনি মতামত জানান। তাঁর মতে, শাহরুখ জানেন যে সেই সময় অভিজিৎ ওই ঘটনায় দুঃখ পেয়েছিলেন।
১৯৯৭ সালে মুক্তি পায় আজিজ মির্জ়া পরিচালিত ছবি ‘ইয়েস বস্’। যতীন-ললিতের সুরে ছবিতে ছ’টি গানের মধ্যে চারটি গান গেয়েছিলেন অভিজিৎ।