শিলাজিৎ। ছবি-সংগৃহীত।
বীরভূমের সঙ্গে বিশেষ যোগ গায়ক শিলাজিৎ মজুমদারের। তাঁর গান ‘লাল মাটির সরানে’-তে রয়েছে সে বিষয়ে স্পষ্ট উচ্চারণ। তাই কলকাতায় থাকলেও তিনি বার বার বীরভূমে ছুটে যান লাল মাটির টানে। সেখানে এক স্কুল পরিচালন সমিতির দায়িত্ব পেয়েছেন শিলাজিৎ। অনগ্রসর শিশুদের জন্য কাজও করে চলেছেন তিনি। কিন্তু, মানুষের জন্য কাজ করতে কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দেওয়ার প্রয়োজন হয়নি গায়কের। তবে রাজনৈতিক দল থেকে ডাক এসেছে।
সম্প্রতি আনন্দবাজার অনলাইনের সামনে মুখ খুললেন শিলাজিৎ। গায়ক জানালেন, রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব তাঁর কাছে এসেছে। প্রস্তাবে সাড়া দেননি তিনি। যদিও কোন দল থেকে এসেছে তা তিনি স্পষ্ট করেননি। শিলাজিৎ বলছেন, ‘‘ভোটে লড়ার প্রস্তাব এসেছে। তবে, আমি পারব না। আমি এই ক্ষমতা বহন করার মতো ক্ষমতাবানই নই।’’
পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি এই মুহূর্তে সন্দেশখালি প্রসঙ্গে সরগরম। সেই প্রসঙ্গে গায়ক বলছেন, ‘‘আমার গ্রামে মনে হয় না শেখ শাহজাহানের মতো কেউ আসবে। যদি আসে, তা হলে আমি পালিয়ে যাব। যে লোককে ধরতে ৬০-৭০ দিন সময় লাগে, সে গ্রামে থাকলে পালিয়ে যেতে হবে। কারণ, আমি তো গুন্ডামি করতে আসিনি!’’
সাক্ষাৎকারে শিলাজিৎ মিঠুন চক্রবর্তীর সম্পর্কেও কথা বলেন। রাজনীতিতে এই মুহূর্তে তিনি প্রাসঙ্গিক নাম। এক সময়ে তিনি গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী নামে পরিচিত ছিলেন। শিলাজিৎ বললেন, ‘‘গৌরাঙ্গ আমার পাড়ায় থাকতেন । উত্তর কলকাতার বাড়িতে আমাদের একটা ছোট বারান্দা ছিল। আমার বয়স তখন ৫ বছর। একটা দৃশ্য স্পষ্ট মনে আছে। গৌরাঙ্গকাকুকে দেখতাম, হাতে বোম নিয়ে দৌড়চ্ছে। ওই বারান্দা থেকে আমি সিনেমা দেখতাম। যে লোকটাকে পাড়ার সিনেমায় দেখতাম, হঠাৎ দেখলাম সে ছবির বড় পর্দায়। খলনায়ককে পেটাচ্ছেন মিঠুন চক্রবর্তী।’’