হরিয়ানার সোনীপথের বাসিন্দা অঙ্কিত রাজস্থানে আরও দু’টি খুনের মামলায় অভিযুক্ত
জনপ্রিয় পঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসে ওয়ালার হত্যাকাণ্ডের মূলচক্রী-সহ আরও এক জনকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ। লরেন্স বিষ্ণোই-গোল্ডি ব্রার গ্যাংয়ের সেই দুই সদস্যকে বহু দিন ধরেই খোঁজা হচ্ছিল। ধৃত দু’জনের নাম অঙ্কিত শীর্ষ এবং শচীন ভিওয়ানি।
সাংবাদিক বৈঠকে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের পুলিশ কমিশনার হরগোবিন্দ সিংহ ধালিওয়াল বলেন, ‘‘সিধুকে তাঁর গ্রামের রাস্তায় নির্বিচারে গুলি চালিয়েছিল যারা তাদের মধ্যে অন্যতম অঙ্কিত। এই হামলার সঙ্গে জড়িত চার শ্যুটারকে আশ্রয় দিয়েছিল শচীন। রবিবার দিল্লির কাশ্মীরি গেট বাসস্ট্যান্ড থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।’’
হরিয়ানার সোনীপথের বাসিন্দা অঙ্কিত রাজস্থানে আরও দু’টি খুনের মামলায় অভিযুক্ত। জানা যায়, শ্যুটারদের মধ্যে সে কনিষ্ঠ। শচীনও রাজস্থানে একটি মামলায় অভিযুক্ত। তার বিরুদ্ধে শ্যুটারদের লুকিয়ে রাখার এবং তাদের সাহায্য করার অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, রাজস্থানে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সমস্ত অপারেশন পরিচালনা করত ভিওয়ানি। পুলিশ তাদের কাছ থেকে ১০টি কার্তুজ-সহ একটি নয় মিলিমিটার বোরের পিস্তল, ৩০ মিলিমিটার বোরের পিস্তল এবং ৯টি তাজা কার্তুজ উদ্ধার করেছে। সেই সঙ্গে মিলেছে পঞ্জাব পুলিশের তিনটি উর্দি, একটি ডঙ্গল এবং একটি সিম-সহ দুটি মোবাইল হ্যান্ডসেট।গত মাসে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছিল, সিধু মুসে ওয়ালার হত্যার সঙ্গে জড়িত তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যাদের কাছ থেকে আটটি গ্রেনেড, তিনটি পিস্তল এবং একটি অ্যাসল্ট রাইফেল উদ্ধার হয়।গত ২৯ মে শুভদীপ সিংহ সিধু ওরফে শিল্পী সিধু মুসে ওয়ালাকে পঞ্জাবের গ্রামে গুলি করে হত্যা করা হয়।
দিল্লি পুলিশ এর আগে গুজরাতের কচ্ছ থেকে দুই প্রধান শ্যুটার-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছিল। সেই অভিযুক্তরা হল হরিয়ানার সোনীপথের বাসিন্দা প্রিয়ব্রত ওরফে ফৌজি, ঝাজ্জিরের কাশিশ, এবং পঞ্জাবের ভাটিন্দার বাসিন্দা কেশব কুমার।কানাডা-ভিত্তিক গ্যাংস্টার গোষ্ঠী গোল্ডি ব্রার ফেসবুক পোস্টে সিধুর হত্যার দায় স্বীকার করেছিল। গোল্ডি ব্রার গ্যাং লিডার লরেন্স বিষ্ণোইকেই মূল হোতা ধরে তদন্ত এগিয়েছে পুলিশ।