শোভন গঙ্গোপাধ্যায়ের মতে, ‘নগেন্দ্রপ্রসাদ সর্বাধিকারী’ ওরফে দেব আর তাঁর গলা মিলেমিশে একাকার।
ষাট, সত্তরের দশক। তখন বাংলা ছবিতে উত্তমকুমার মানেই হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। সুচিত্রা সেন মানেই সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। কিন্তু তার পরে? উত্তম-হেমন্ত বা সুচিত্রা-সন্ধ্যার মতো একে অন্যের ‘গলা’ হয়ে উঠতে পারলেন কি কেউ? যুগের পরে যুগ কেটেছে। টলিউডে ছবির গানের ক্ষেত্রে এই পারস্পরিক নির্ভরতা কমতে কমতে ইদানীং তলানিতে। আর ঠিক সেখানেই ইতিহাস গড়ে ফেলেছে এসভিএফ প্রযোজনা সংস্থার ‘গোলন্দাজ’।
ছবির সাফল্যের পাশাপাশি তিনটি গানও জনপ্রিয়। কী করে সম্ভব হল? ছবির অন্যতম গায়ক শোভন গঙ্গোপাধ্যায়ের মতে, ‘নগেন্দ্রপ্রসাদ সর্বাধিকারী’ ওরফে দেব আর তাঁর গলা মিলেমিশে একাকার। যা শ্রোতারা খেয়াল করেছেন। আর রাজযোটক হয়েছে প্রতিটি গানের দুর্দান্ত সুর, অনবদ্য কথা।
শোভনই কি প্রথম খেয়াল করেছেন এই কণ্ঠ হয়ে ওঠার বিষয়টি? আনন্দবাজার অনলাইনকে শোভন বলেছেন, ‘‘বিষয়টি প্রথমে খেয়াল করেন ছবির সুরকার বিক্রম ঘোষ। তখনও আমার কণ্ঠে একটিই গান ছিল, ‘রাসযাত্রা’। সেই গানটি শোনার পরে বিক্রমদা ছবির পরিচালক ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিষয়টি জানান। দেবদার সঙ্গে আমার গলা মিলে যাওয়ায় ধ্রুবদা আর বিক্রমদা পরে আমায় দিয়ে আরও দুটো গান গাওয়ান। ‘যুদ্ধং দেহি’ এবং ‘বন্দে মাতরম’।’’ প্রসঙ্গত, এর আগে অপর্ণা সেন পরিচালিত ‘আরশি নগর’ ছবিতে দেবের ‘কণ্ঠ’ হিসেবে প্রথম গেয়েছিলেন শোভন। গায়কের দাবি, ছবি এবং গান জনপ্রিয় হয়নি। ফলে, গলা মিলে যাওয়ার বিষয়টিও সে ভাবে নজর করেননি কেউ।
দ্বিতীয় ছবির দৌলতে আপাতত তাঁর কণ্ঠ শোভন। বিষয়টি জেনে খুশি দেবও। তাঁর বক্তব্য, দু’বছর অপেক্ষার পর পুজো-মুক্তি। অতিমারির আবহেও এক সপ্তাহে ২ কোটি টাকার উপরে ব্যবসা করেছে ‘গোলন্দাজ’। তিনি ‘নগেন্দ্রপ্রসাদ সর্বাধিকারী’ হিসেবে দর্শকপ্রিয়। উপরি পাওনা, শোভন আর তাঁর এই মেলবন্ধন। দেব শোভনকে বলেছেন, সবার পরিশ্রম সার্থক। তিনি তৃপ্ত।
তবে কি এ বার দেব মানেই শোভন? গায়ক জানিয়েছেন, তিনি এর জন্য মুখিয়ে আছেন। ভাল কথা, সুর এবং সঠিক কণ্ঠ ব্যবহৃত হলে আজও দর্শক-শ্রোতা গান ভালবেসে শোনেন। বক্তব্য শোভনের।