শ্যুটিং শুরু হল বুধবার থেকে
অভ্যন্তরীণ বৈঠকের পর সমস্যা মিটে যাওয়ায় বুধবার থেকে টেলিপাড়ায় শুরু হয়েছে কাজ। সূত্রের খবর, পুরনো মউ চুক্তির নিয়মবিধি মেনেই এখন টেলিপাড়ায় কাজ চলবে। তবে আগামী মাসের শেষের দিকে নতুন মউ চুক্তি সাক্ষর হবে। সেই চুক্তি অনুযায়ী, পরবর্তী কালে ধারাবাহিকগুলিতে কাজ হবে। অভ্যন্তরীণ বৈঠকে সব পক্ষের সম্মিলিত মতামতের ভিত্তিতেই কলাকুশলী থেকে অভিনেতারা পুরনো মউ চুক্তি অনুসারে আপাতত কাজ করবেন।
মঙ্গলবার সন্ধেবেলা প্রযোজকদের সংগঠন অর্থাৎ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন প্রোডিউসর্স (ডব্লিউএটিপি), আর্টিস্ট ফোরাম এবং চ্যানেলের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল ফেডারেশন। দীর্ঘ দ্বন্দ্ব মেটানোর উদ্দেশ্যে হওয়া সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নবনির্বাচিত বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীও। মঙ্গলবার বৈঠক শেষে প্রযোজক শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায় আনন্দবাজার অনলাইনকে জানান, ‘‘ধারাবাহিকে কাজ করা নিয়ে ফেডারেশনের সঙ্গে যে দীর্ঘকালীন সমস্যা চলছিল, তা পারস্পরিক আলোচনায় সমাধান করা হয়েছে। বুধবার থেকে সব ধারাবাহিকর শ্যুটিং শুরু হবে।’’ সেই মতো কাজ শুরুও হয়েছে। যদিও মউ চুক্তির বিষয়ে তখন কিছু বলেননি কোনও প্রযোজক বা ফেডারেশনও।
দিন ২০ আগে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমতিতে টেলিপাড়ার ঝাঁপ খুললেও সংগঠনগুলির মধ্যে সমস্যার সমাধান না হওয়ায় ধারাবাহিকের শ্যুটিং নিয়ে চাপানউতর চলছিল। স্বরূপ বিশ্বাসের হুমকিতে কাজ হচ্ছে না বলে অভিযোগ জানিয়েছিল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন প্রোডিউসর্স (ডব্লিউএটিপি) এবং আর্টিস্ট ফোরাম। তার পরে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় এবং রাজ চক্রবর্তী বৈঠকে বসেন অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে। তাঁদের মধ্যস্থতার পরে ফেডারেশন ও প্রযোজকদের মধ্যে সমস্যার সমাধান হয়েছিল বটে, কিন্তু তার পরেও নতুন ধারাবাহিকের শ্যুটিং বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। গত শনিবার বেনামি এক বিজ্ঞপ্তি একাধিক নতুন ধারাবাহিকের শ্যুট থমকে গিয়েছিল।