রাজ ও শিল্পার আইনজীবী কি বললেন? ছবি: সংগৃহীত।
বিপাকে শিল্পা শেট্টির স্বামী রাজ কুন্দ্রা! দিন কয়েক আগেই শিল্পপতি রাজের ৯৭.৭৯ কোটির স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট)। আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইন বা পিএমএলএ ২০০২-এর অধীনে একাধিক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সম্পত্তির তালিকায় রয়েছে রাজ কুন্দ্রার পুণের বাংলো ও শিল্পার জুহুর ফ্ল্যাট। এ বার ফের যেন মাথাচাড়া দিয়ে উঠল পর্নোগ্রাফি মামলা। ২৯ নভেম্বর রাজ-শিল্পার বাড়িতে ফের ইডির হানা। শোনা গিয়েছিল, আর্থিক তছরূপ-সহ পর্নোগ্রাফি মামলায় ফের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তারকা দম্পতিকে। শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে তাঁদের বাড়ি ও অফিস দু’জায়গায় হানা দিয়েছে ইডি। এ বার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন অভিনেত্রীর আইনজীবী।
যদিও এই ঘটনা পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন শিল্পা-রাজের আইনজীবী। তাঁদের বাড়িতে বা অফিসে ইডি হানা দেয়নি বলেই জানান তিনি। আইনজীবী বিবৃতিতে বলেন, ‘‘সকাল থেকে দেখছি আমার মক্কেলের বাড়িতে নাকি ইডি হানা দিয়েছে। একেবারে ভিত্তিহীন খবর এটা। যত দূর আমি জানি, এই ঘটনার তদন্ত চলছে এবং রাজ তদন্তে সব দিক থেকে সাহায্য করছেন।’’
পর্নোগ্রাফি-কাণ্ডের তদন্তে নেমে ‘হটশট’ নামের বিশেষ একটি অ্যাপের সন্ধান পেয়েছিল মুম্বই পুলিশের অপরাধদমন শাখা। ওই অ্যাপ যে সংস্থা নিয়ন্ত্রণ করত, তার মালিক ছিলেন রাজ। একাধিক সার্ভার থেকে পর্নোগ্রাফি ভিডিয়ো, স্বল্প এবং লম্বা দৈর্ঘ্যের ভিডিয়ো মিলেছিল। অভিযোগ, মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে এই ধরনের ছবি তৈরি করতেন রাজ। তার পর তা বিক্রি করতেন। বিদেশ পর্যন্ত এই চক্র বিস্তৃত বলেও অভিযোগ উঠেছিল।
রাজের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর তাঁর সংস্থা পরিচালিত অ্যাপটি গুগ্ল প্লে বা অ্যাপলের মতো প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এখন আর ওই অ্যাপ পাওয়া যায় না। পর্নোগ্রাফি-কাণ্ডে জামিন পেয়ে গেলেও আর্থিক তছরুপের অভিযোগগুলি নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই তিনি ইডির আতশকাচের নীচে ছিলেন বলে খবর। উল্লেখ্য, পর্নোগ্রাফির পাশাপাশি বিটকয়েন দুর্নীতিতেও নাম জড়িয়েছে রাজের।