শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়-নন্দিতা রায়। ছবি: সংগৃহীত।
শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায় জুটি মানেই বক্স অফিসে সাফল্য। তাঁদের ছবি মানেই হলমালিকদের চওড়া হাসি। এ বার এই পরিচালক জুটির ছবি ‘শাস্ত্রী বিরুদ্ধ শাস্ত্রী’ দেখানো হচ্ছে রাজ্যসভায়। বাঙালি পরিচালক হিসেবে এ ব্যাপারে তাঁরাই প্রথম। এর আগে যদিও ‘দ্য কাশ্মীর ফাইল্স’, ‘গদর ২’-এর মতো হিন্দি ছবির প্রদর্শন হয়েছে রাজ্যসভায়। কিন্তু বাঙালি পরিচালকের ছবি এই প্রথম।
২৩ মার্চ, শনিবার সংসদ গ্রন্থাগার ভবনের জিএমসি বালযোগী অডিটোরিয়ামে, সকাল সাড়ে ১১টায় প্রদর্শিত হচ্ছে এই ছবি। রাজ্যসভায় বিশেষ স্ক্রিনিংয়ের দিন উপস্থিত রয়েছেন রাজ্যসভার মহাসচিব এবং অভিনেতা পরেশ রাওয়াল-সহ পরিচালক নন্দিতা রায়। যদিও উপস্থিত থাকতে পারেননি শিবপ্রসাদ। এই মুহূর্তে আদুরিয়া ফরেস্টে তিনি পরবর্তী ছবির শুটিং নিয়ে ব্যস্ত। তবে তাঁদের জীবনের বিশেষ এই দিনে অনুভূতি ভাগ করে নিলেন আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে। শিবপ্রসাদ বলেন, ‘‘আমদের দু’জনের পরিচালনা জীবনের গুরুত্বপূর্ণ দিন। আমাদের প্রথম হিন্দি সিনেমা দেখানো হবে রাজ্যসভায়। গণ্যমান্য ব্যক্তিত্বেরা উপস্থিত থাকবেন। আসলে সিনেমা নদীর মতো। নিজের নিয়মে বয়ে চলে এবং পৌঁছে যায় তার দর্শকের কাছে। বাংলা সিনেমার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ দিন। নেটফ্লিক্সে ২০ দিন ধরে এই ‘শাস্ত্রী বিরুদ্ধ শাস্ত্রী’ ট্রেন্ডিংয়ে ছিল।’’ শনিবারের এই বিশেষ দিনে শিবপ্রসাদ ধন্যবাদ জানাতে চান তাঁর দর্শকদের।
২০১৭ সালে ‘পোস্ত’ ছবির স্বাদে মজেছিলেন বাংলার দর্শক। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, মিমি চক্রবর্তী, যিশু সেনগুপ্ত, পরান বন্দ্যোপাধ্যায়ের রসায়ন বক্স অফিসেও লক্ষ্মীলাভ করেছিল। সেই ছবিরই ভাষান্তর করে বানানো হয় ‘শাস্ত্রী বিরুদ্ধ শাস্ত্রী’।পরেশ রাওয়াল, নীনা কুলকার্নি, অম্রুতা সুভাষ, শিব পণ্ডিত, মিমি চক্রবর্তীর মতো তারকারা অভিনয় করেছেন এই ছবিতে। সে দিক থেকে দেখলে, মিমিরও এটা প্রথম হিন্দি ছবি। তবে শিবপ্রসাদ-নন্দিতা জুটির এটা প্রথম হিন্দি ছবি হলেও তাঁদের ‘বেলাশেষে’, ‘কণ্ঠ’ ও ‘হামি’ ছবিগুলির স্বত্ব বিভিন্ন ভাষায় ইতিমধ্যে বিক্রি হয়ে গিয়েছে।