(বাঁদিক থেকে) শর্মিন সেগাল এবং সঞ্জয় লীলা ভন্সালী।
সঞ্জয় লীলা ভন্সালীর ওয়েব সিরিজ ‘হীরামন্ডি’ এখন চর্চার কেন্দ্রে। সঞ্জয় লীলা ভন্সালীর ভাগ্নি তথা অভিনেত্রী শর্মিন সেগাল তাঁর অভিনয়ের জন্য সমালোচিত হচ্ছেন। অনেকেই তাঁর অভিনয়কে ‘অভিব্যক্তিহীন’ বলে দাবি করছেন। এক জায়গায় সিরিজ়ের প্রচারে গিয়ে শর্মিন বলেছেন, ‘‘অভিনেতারা এমনিতেই নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। এটা সহজাত।’’ ভাগ্নিকে নিয়ে যে ঠাট্টা মশকরা চলছে নেটপাড়ায়, তাতেই সকলকে একহাত নিয়ে মামা ভন্সালী বলেন, ‘‘আলমজ়েবের জন্য এরকমই অভিব্যক্তি চেয়েছিলাম।’’ তবে নিজের প্রথম ছবি ‘মলাল’-এর এক দৃশ্যের শুটে প্রায় ৩০ বার টেকের পরেও সফল হননি শর্মিন। মামার কাছে যেতেই কী করলেন তিনি?
শর্মিন নিঃসঙ্কোচে স্বীকার করেন সঞ্জয় লীলা ভন্সালীর ভাগ্নি হওয়ায় বড় ব্রেক পেতে সুবিধে হয়েছে। একই রকম অকপট ভাবে শর্মিন বলতে পারেন সেই অভিজ্ঞতাও, যখন অতিরিক্ত ওজনের জন্য হেনস্থার শিকার হতে হত তাঁকে। ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর হাতেখড়ি অবশ্য ক্যামেরার পিছনে। মামা ভন্সালীর ছবি ‘রাম লীলা’ এবং ‘বাজিরাও মস্তানি’-র ইউনিটে সহকারী ছিলেন শর্মিন। কিন্তু মনে মনে তত দিনে বেড়েছে অভিনয়ের ইচ্ছে। প্রাণপণে তা লুকিয়ে রাখতেন। কিন্তু 'বাজিরাও মস্তানি'র সেটে ধরা পড়ে যান। ভাগ্নির সুপ্ত ইচ্ছে ধরা পড়ে যায় পরিচালক মামার নজরে। ‘মলাল’ ছবির মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ ঘটে তাঁর।
খ্যাতনামী মামার ভাগ্নি হওয়ার সমস্যাও কম নয়। প্রতি মুহূর্তে প্রমাণ করে যেতে হবে যোগ্যতা। তাই রীতিমতো অডিশন দিয়েই ‘মলাল’-এর নায়িকার ভূমিকায় নির্বাচিত হয়েছেন শর্মিন। তাতেও সহ্য করতে হয়েছে মামার বদমেজাজ। 'বাজিরাও মস্তানির'-সেটে উল্টোপাল্টা করে ফেলেছিলেন কস্টিউম। রেহাই পাননি মামার বকুনি থেকে। তবে একটা দৃশ্যে ৩০ বার টেক দেওয়ার পরও যখন ব্যর্থ হন, মামা ভন্সালী সামনে দাঁড়াতেই কেঁদে ফেলেন শর্মিন। তবে ওই দিন মামা তাঁকে বকুনি দেননি। বরং শর্মিন বলেন,‘‘বলেছিলাম, আমি পারছি না। মামা এক ফোঁটা বিরক্তি প্রকাশ না করেই বলেন, 'তোমাকে পারতেই হবে'।’’