Taimur Ali khan

‘তৈমুর’ নামে ঘোর আপত্তি! পুত্রের জন্ম দেওয়ার বদলে করিনার মৃত্যু চেয়েছিলেন কেউ কেউ!

পুত্রের নাম তৈমুরের বদলে অন্য কিছু দেওয়ার ব্যাপারে চিন্তা করেছিলেন সইফও। কাউকে জানাননি। যদিও করিনা অন্য কথা বলেন। কী হয়েছিল তখন, জানালেন শর্মিলা ঠাকুর।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
মুম্বই শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০২৩ ০৯:১২
Sharmila Tagore recalls horrible comments after Taimur was born

পুত্রের নাম প্রকাশ্যে আনতেই প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তারকা দম্পতি। ছবি—সংগৃহীত

স্বভাবে সে অনেক বেশি পরিণত। আচরণ শিশুসুলভ নয়। কখনও হাসে না। মাঝেমাঝেই আলোকচিত্রীদের সামনে অসভ্য আচরণ করে। হালে এমন সব অভিযোগ উঠলেও জন্ম থেকেই বিতর্কে সেই তারকাসন্তান। তাই বলে নাম রাখা হল তৈমুর আলি খান? পুত্রকে নিয়ে অনেক অপ্রিয় কথা শুনতে হয়েছে সইফ আলি খান এবং করিনা কপূরকে। শর্মিলা ঠাকুরের কানেও এসেছে নাতির নামকরণের বিরুদ্ধ মন্তব্য। ইতিহাসে কুখ্যাত দুর্দম লুন্ঠনকারীর নামে কেউ বংশধরের নাম রাখে নাকি? তার চেয়ে করিনার মৃত্যুও চেয়ে বসেছিলেন কোনও কোনও নিন্দক। যা অত্যন্ত অবিবেচকের মতো কথা বলে মনে হয়েছিল শর্মিলার। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে পুত্রবধূর হয়ে মুখ খুললেন তিনি।

২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাস। ২০ তারিখে জন্ম নেয় করিনা-সইফের প্রথম সন্তান তৈমুর। সে সময় মশাবাহিত জ়িকা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছিল। তাই কেউ কেউ মন্তব্য করেছিলেন, “তৈমুরের জন্ম দেওয়ার চেয়ে জ়িকায় আক্রান্ত হতে পারতেন করিনা! তা হলে আর বাচ্চাটা জন্মাত না।” পুত্রের নাম প্রকাশ্যে আনতেই প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তারকা দম্পতি। সেই প্রসঙ্গ টেনে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে শর্মিলা বললেন, “সবাইকে খুশি করে চলা যায় নাকি! তাই চেষ্টা করারও মানে হয় না।” জানালেন, তিনি পড়েছেন সেই সব প্রতিবেদন, যেখানে তাঁর নাতির নাম নিয়ে ঝড় তোলা হয়েছিল। বললেন, “একটি পোস্টও পড়েছিলাম যেখানে লেখা ছিল, “‘করিনার জ়িকা হলে তৈমুরের জন্ম হত না!’ আমি শুধু ভাবছি, মানুষ কী ভাবে এমন চিন্তা করতে পারে? একটা সদ্যোজাত শিশুকে দেখে কারও এই কথা মনে এলে সেটা রাগ নয়, অন্য কিছুর বহিঃপ্রকাশ।” বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর কথায়, তাঁর ভয় করে, কোন পৃথিবীতে আছেন তা ভেবেই। ব্যথায় ভারী হয়ে আসে তাঁর হৃদয়।

Advertisement

সইফকেও এক সাক্ষাৎকারে জিজ্ঞাসা করা হয় এ নিয়ে। অভিনেতা জানান, ২০১৭ সালে পুত্রের নাম বদলে দেওয়ার ব্যাপারে তিনিও চিন্তা করেছিলেন, কিন্তু কাউকে জানাননি। যদিও করিনা অন্য কথা বলেন।। তাঁর যুক্তি ছিল, “মানুষ তোমার মতামতকে শ্রদ্ধা জানায়। যা সিদ্ধান্ত নেবে নাও। তবে বার বার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার দরকার কী?” সইফ অবশ্য জানান, লোকের কথা তিনি ভাবছেন না। তাঁর ভয় ছিল, যদি বিখ্যাত হওয়ার বদলে তৈমুর জনপ্রিয়তা হারায়?

সইফের কথায়, “আমি আর আমার সহকারী এ নিয়ে ভাবনাচিন্তা করে রাজিও হয়ে যাই। তৈমুরের তখন ২ বছর বয়স। নামবদলের জন্য একটা লিখিত আবেদন সাজিয়ে ফেলি আমরা। কিন্তু তার পরই যখন সেই চিঠি পড়ে দেখি, খুব খুব খারাপ লাগে। আবার আমরা সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসি।”

আরও পড়ুন
Advertisement