গ্রেফতারি পরোয়ানায় কী লিখলেন আরিয়ান?
কেন আমাকে গ্রেফতার করা হল, তা বুঝতে পেরেছি। নিজের গ্রেফতারি পরোয়ানায় এমনই বয়ান শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানের। এনসিবি-র দফতরে ১৬ ঘণ্টা জেরা করার পর গ্রেফতার করা হয়েছে শাহরুখ-পুত্রকে। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর গ্রেফতারি পরোয়ানা। যেখানে আরিয়ান নিজের হাতে কলম দিয়ে লিখেছেন, ‘আমাকে কেন গ্রেফতার করা হয়েছে, তা আমি বুঝতে পেরেছি। আর আমার পরিবারের সদস্যদের ফোন করে আমি সে কথাই জানিয়েছি।’ নীচে আরিয়ানের সই। ‘দ্য নিউ ইন্ডিয়ান’ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে সেই ছবি।
শাহরুখের ছেলেকে নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস’ (এনডিপিএস)-আইনের আওতায় গ্রেফতার করা হয়েছে। পরোয়ানায় লেখা রয়েছে, ১৩ গ্রাম কোকেন, ২১ গ্রাম চরস, ২২টি এমডিএমএ বড়ি এবং নগদ ১,৩৩,০০০ টাকা উদ্ধার হয়েছে মু্ম্বই থেকে গোয়াগামী প্রমোদতরীর টার্মিনালে।
শনিবার রাতেই খবর আসে গোয়াগামী এক প্রমোদতরীতে এনসিবি আধিকারিকরা তল্লাশি চালিয়েছেন। তাতে বলিউড তারকা-সন্তানও আটক হয়েছেন। কিন্তু নাম তখনও প্রকাশ্যে আসেনি। রবিবার সকালে আরিয়ানের নাম জানা গেল। আরিয়ান ছাড়াও মোট ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের প্রত্যেককেই জেরা করা হয়েছে সকাল থেকে। তার পর বিকেলে আরিয়ান এবং আরও দু’জনকে গ্রেফতার করেন আধিকারিকরা। আরিয়ানের সঙ্গে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের নাম, মুনমুন ধমেচা এবং আরবাজ শেঠ মার্চান্ট। আরিয়ানের সঙ্গে বাকি দু’জনও সোমবার পর্যন্ত এনসিবি-র হেফাজতে থাকবেন। গ্রেফতারের পর তাঁকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য জেজে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
Mumbai: Aryan Khan, Arbaz Seth Merchant and Munmun Dhamecha have been sent to NCB custody till tomorrow.
— ANI (@ANI) October 3, 2021
They were arrested in connection with the raid at a party at a cruise off the Mumbai coast yesterday. pic.twitter.com/12MQGPPPIo
এনসিবি সূত্রে খবর, সেই পার্টিতে জামাকাপড়ের সেলাই, মেয়েদের ব্যাগের হাতলের মধ্যে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল মাদক। শাহরুখ-পুত্রের লেন্স রাখার বাক্স থেকেও নাকি মাদক উদ্ধার করেন এনসিবি-র আধিকারিকরা।
শাহরুখ-পুত্রের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট খতিয়ে দেখা হয়েছে। যদিও তাতে কী কী পাওয়া গিয়েছে, সে তথ্য প্রকাশ্যে আসেনি।
শাহরুখ বা গৌরী এখনও প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেননি। কেবল তাঁদের বাড়ি ‘মন্নত’ থেকে কয়েকটি গাড়ির কনভয় বেরোতে দেখা গিয়েছে। তাতে কে কে ছিলেন, তা বোঝা যায়নি। জানা গিয়েছে, শাহরুখ তাঁর ছেলের জন্য আইনজীবী সতীশ মানশিণ্ডেকে নিয়োগ করেছেন।