শাহরুখ খান।
দিল্লি। শাহরুখ খানের জন্মের শহর। বেড়ে ওঠার শহর। প্রথম সব কিছুর শহর। ব্যস্ত রুটিন থেকে সময় বার করে ‘কিং’ ফিরে গিয়েছিলেন সেই শহরে। তাঁর মা-বাবার সমাধিতে প্রার্থনা করেছেন অভিনেতা।
অভিনেতার এই ব্যক্তিগত মুহূর্ত ধরা পড়ল পাপারাৎজিদের ক্যামেরায়। সাদা শার্ট, কালো প্যান্টে দেখা গেল অভিনেতাকে। রুমাল দিয়ে মাথা ঢেকেছিলেন তিনি।
নানা সাক্ষাৎকারে মা-বাবাকে নিয়ে কথা বলতে শোনা গিয়েছে শাহরুখকে। অভিনেতার বাবা তাজ মহম্মদ খান পেশোয়ার থেকে ভারতে এসেছিলেন। শাহরুখের বয়স যখন ১৫ বছর, ক্যানসারে বাবাকে হারান তিনি। দীর্ঘ অসুস্থতার পর ১৯৯০ সালে অভিনেতার মা-ও চলে যান।
আকস্মিকভাবে মা-বাবার চলে যাওয়া সে সময় মেনে নিতে পারেননি শাহরুখ। জীবনে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছিল, অভিনয়ের মাধ্যমে তা পূরণ করতে চেয়েছিলেন অভিনেতা। তখনই বড় পর্দায় অভিনয়ের সুযোগ আসে তাঁর কাছে। তাই অভিনয়কে শাহরুখ নিছক অভিনয় হিসেবে দেখেন না। এই পেশা তাঁর অনুভূতি প্রকাশ করার মাধ্যমও বটে।
ডেভিড লেটারম্যানের টক শো-তে শাহরুখ জানিয়েছিলেন, মা-বাবার সঙ্গে যথেষ্ট সময় না কাটানোর আফসোস রয়ে গিয়েছে তাঁর মনে। নিজের সন্তানদের সঙ্গে তাই যতটা বেশি সম্ভব সময় কাটান অভিনেতা। শাহরুখের পুত্র আরিয়ান খান এবং কন্যা সুহানা খান পড়াশোনার সুবাদে বিদেশে থাকেন। সময় বার করে তাঁদের সঙ্গেও মাঝেমধ্যেই দেখা করেন অভিনেতা। ছোট ছেলের আবরামের সঙ্গেও নানা সময় খুনসুটিতে মেতে উঠতে দেখা যায় তাঁকে।