নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি আরিয়ান।
প্রমোদতরীর পার্টি থেকে সোজা নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) দফতর। শাহরুখ-পুত্র এমন বিপাকেও যে পড়তে পারেন, তা বোধ হয় তিনি নিজেও ভাবেননি। টানা ১৬ ঘণ্টা একটি রুদ্ধদ্বার কক্ষে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে আরিয়ান খানকে। প্রশ্নের পর প্রশ্ন। অচেনা মুখ। শেষমেশ নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি আরিয়ান। কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
আরিয়ান মাদক নেওয়ার কথা স্বীকার করেছিলেন। প্রথমে অনুশোচনা প্রকাশ করে জানিয়েছিলেন, জীবনে এই প্রথম মাদক সেবন করেছিলেন তিনি। কিন্তু আরিয়ানের সেই স্বীকারোক্তিতে সন্তুষ্ট হয়নি এনসিবি। আরও গভীরে গিয়েছে তদন্ত। উঠে এসেছে তথ্যও। জানা গিয়েছে, চার বছর ধরে মাদক সেবন করছেন তিনি। দুবাই, লন্ডন এবং আরও অন্যান্য দেশে গিয়েও নেশা করতেন তিনি।
নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস (এনডিপিএস)-আইনের আওতায় গ্রেফতার হন আরিয়ান-সহ মুনমুন ধমেচা এবং আরবাজ শেঠ মার্চান্ট। ইতিমধ্যেই ছেলের জন্য আইনজীবী সতীশ মানশিণ্ডেকে নিয়োগ করেছেন শাহরুখ। সোমবারই আরিয়ানকে কোর্টে তোলা হবে। তখনই তাঁর হয়ে জামিনের আবেদন করবেন আইনজীবী।
জানা গিয়েছে, ‘পাঠান’ ছবির কাজের জন্য স্পেন যাচ্ছিলেন শাহরুখ। বিদেশ যাওয়ার কথা ছিল গৌরী খানেরও। কিন্তু আপাতত সেই পরিকল্পনা স্থগিত রেখেছেন তাঁরা।