Bangaldesh

Shabnam: স্বামী-সন্তানদের সামনে ধর্ষণ, আরও এক বাংলাদেশি অভিনেত্রী শবনমের জীবন প্রকাশ্যে

১৯৭৮ সালের বীভৎস ঘটনা প্রকাশ্যে আনলেন জনৈক নেটাগরিক। পরীমণির যৌন হেনস্থার অভিযোগের পর আরও এক বাংলাদেশি অভিনেত্রী শবনমের ধর্ষণের ঘটনা সামনে এল।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০২১ ২১:৩১
শবনম

শবনম

১৯৭৮ সালের বীভৎস ঘটনা প্রকাশ্যে আনলেন জনৈক নেটাগরিক। পরীমণির যৌন হেনস্থার অভিযোগের পর আরও এক বাংলাদেশি অভিনেত্রী শবনম ওরফে ঝর্ণা বসাকের ধর্ষণের ঘটনা সামনে এল। নেটাগরিকের মতে, ‘উপমহাদেশের ইতিহাসে সব থেকে হাইপ্রোফাইল ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন বাংলাদেশি বাঙালি ঝর্ণা।’

১৯৪২ সালে জন্ম ঝর্ণার। ১৯৬০ থেকে ’৮০-এর দশকের শেষ পর্যন্ত চলচ্চিত্র জগতে রাজ করেছেন তিনি। কেবল বাংলাদেশ নয়, পাকিস্তানের ছবিতেও কাজ করেছেন শবনম। মোট ১৩ বার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন শবনম। পাকিস্তানেই বেশি কাজ করতেন তিনি। কিন্তু গণধর্ষণের শিকার হওয়ার পর ১৯৯৯ সালে পাকিস্তান ছেড়ে বাংলাদেশে চলে যান তিনি। তার আগেই ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের পর তিনি বাংলাদেশে ফিরতে চেয়েছিলেন। ভিসা পাওয়ার সমস্যায় আরও দু'বছর অপেক্ষা করতে হয়। পরে জানা যায়, নিজের নাম প্রকাশ না করে এক ব্যক্তি সরকারকে চিঠি লিখেছিলেন, শবনমকে যেন বাংলাদেশে যেতে দেওয়া না হয়। তার কারণ হিসেবে লিখেছিলেন, শবনম যদি বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তান ফেরত না যান, তা হলে চলচ্চিত্রে তাঁর জন্য যে টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে, তা জলে যাবে।

Advertisement

১৯৭৮ সালে ১৩ মার্চ লাহোরের গুলবার্গে তাঁর বাড়িতে ৫ জন ব্যক্তি জোর করে ঢুকে পড়ে। প্রথমে ডাকাতি করে তারা। এক লক্ষ টাকা নগদ এবং গয়নাগাটি নেওয়ার পর শবনমের স্বামী, গীতিকার রবিন ঘোষ এবং পুত্র রনি ঘোষের সামনে তাঁকে ধর্ষণ করে প্রত্যেকে।

ঝর্ণা বসাক

ঝর্ণা বসাক

মোট ৭ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের হয়। কিন্তু তাতেও অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে শবনমকে। যে হেতু অভিযুক্তদের পরিবার অত্যন্ত প্রভাবশালী, তাই তারা স্থানীয় থানার পুলিশকর্মীদের সঙ্গে আগে থেকেই আঁটঘাঁট বেঁধে রেখেছিল। যদিও পরবর্তী কালে সেই ৭ জনকে সাজা দেওয়া হয়। ৫ জন মৃত্যুদণ্ড, বাকি দু'জন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা পায়।

Advertisement
আরও পড়ুন