মন্দিরের সামনে আলোকচিত্রী দেখে ক্ষুব্ধ সারা। ছবি: সংগৃহীত।
সারা আলি খান বরাবরই ঈশ্বর বিশ্বাসী। তাঁর প্রথম ছবি থেকেই রয়েছে আধ্যাত্মিক যোগ। ছবির নাম ‘কেদারনাথ’। সেই ছবির শুটিংয়েই প্রথম বার যান কেদারনাথে। তার পর মনের টানেই বার বার ছুটে গিয়েছেন সেখানে। তবে শুধু কেদারনাথে নয়, কখনও তাঁকে দেখা গিয়েছে কামাখ্যা মন্দিরে, কখনও তিনি ছুটেছেন উজ্জয়িনীর মহাকাল মন্দিরে। আবার কখনও তাঁকে দেখা গিয়েছে অজমের শরিফে। সম্প্রতি মুম্বইয়ের এক শনি মন্দিরের বাইরে দেখা গেল সারাকে। এমনিতে আলোকচিত্রীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক তাঁর। তবে এ দিন আলোকচিত্রীদের দেখামাত্রই বিরক্তি প্রকাশ করেন। সেই সঙ্গে, ক্যামেরা বন্ধ করার অনুরোধও জানান। কিন্তু, হঠাৎ এমন বিরক্তির কারণ কী?
জন্মসূত্রে সারা মুসলিম। সইফ আলি খান ও অমৃতা সিংহের মেয়ে। অবশ্য সারার মা হিন্দু। তবু সারার মন্দির দর্শন নিয়ে বার বার আপত্তি তোলেন নেটাগরিকদের একাংশ। তবে তাতে পাত্তা দেন না সইফ-কন্যা। সম্প্রতি মুম্বইয়ের ওই মন্দিরের বাইরে দুঃস্থদের খাবার বিতরণ করছিলেন অভিনেত্রী। সেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করতেই রেগে যান সারা।
এর আগে মুম্বইয়ে গণেশ মন্দিরের বাইরে খাবার বিতরণের ছবি ক্যামেরাবন্দি করছিলেন একদল ফটোশিকারি। সেই সময়ও বেজায় চটে যান অভিনেত্রী। এ বার ফটোশিকারিদের সারা বলেন, ‘‘প্লিজ় বন্ধ করুন। আমি আপনাদের অনুরোধ করে করে হাঁপিয়ে গিয়েছি। আপনারা দয়া করে এটা করবেন না। প্লিজ়!” তবে সারার অনুরোধের তোয়াক্কা করেননি ফটোশিকারিরা। তত ক্ষণে ভিডিয়ো রেকর্ড করে সমাজমাধ্যমে ছেড়ে দিয়েছেন তাঁরা। তবে শুধু সারা নন, বলিউডে বার বার তারকাদের ব্যক্তিগত জীবনে ঢুকে গিয়েছেন ফটোশিকারিরা। সর্ব ক্ষণ ক্যামেরার নজরদারির সামনে থাকতে থাকতে খানিক হাঁপিয়ে ওঠেন তাঁরাও। সম্ভবত সেই কারণেই মেজাজ হারান সারা।