অভিনেত্রী সান্যা মলহোত্র। ছবি : সংগৃহীত।
দেখতে দেখতে সাত বছর পার করে ফেলেছেন হিন্দি ছবির জগতে। যদিও তাঁর শুরুটা হয়েছিল কুস্তির আখড়ায়। প্রথম ছবিতেই আমির খানের মতো তারকার মেয়ের ভূমিকায় অভিনয় করার সুযোগ পান। তারকার ছায়া থেকে বেরিয়ে এসে নিজেকে সদর্পে প্রতিষ্ঠা করেছেন অভিনেত্রী সান্যা মলহোত্র। সদ্য ওটিটি-তে মুক্তি পেয়েছে তাঁর ছবি ‘কাঁঠাল: আ জ্যাকফ্রুট মিস্ট্রি’। সংশ্লিষ্ট ওটিটি প্ল্যাটফর্মে সপ্তাহ খানেক ধরে শীর্ষে রয়েছে এই ছবি। এর পর তাঁকে দেখা যাবে শাহরুখ খানের সঙ্গে ‘জওয়ান’ ছবিতে। কিন্তু সান্যার এই যাত্রাপথের সবটাই যে খুব মসৃণ, তেমনটা নয়। বাধাও পেতে হয়েছে অভিনেত্রীকে। এমনিতেই অভিনেত্রীকে কেরিয়ারের শুরুর দিকে কোঁকড়া চুল নিয়ে কম কথা শুনতে হয়নি। রটেছিল, অভিনেত্রী চোয়ালেও কারসাজি করেছেন! অস্ত্রোপচার করেই নাকি সৌন্দর্যপ্রাপ্তি হয়েছে তাঁর!
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী তাঁর কেরিয়ারের গোড়ার দিকে স্মৃতি রোমন্থন করেন। সান্যা জানান, কেরিয়ারের শুরুর দিকে বিনা মেকআপেই অডিশন দিতে যেতেন। বেশ অনেকটা সময় ধরেই চেষ্টা করেছেন বলিউডে। নিজের স্বতন্ত্র পরিচয় বানাতেও অনেকটা সময় লেগেছে। তবে ইন্ডাস্ট্রিতে নায়িকাদের সৌন্দর্যের মাপকাঠি ধরাবাঁধা। সেই মাপকাঠি অনুযায়ী নিজেকে বদলে ফেলতে সময় নেন না অনেক নায়িকাই। নাক-ঠোঁট-গাল গতে বাঁধা চেহারায় মেলানোর জন্য অনেকেই প্লাস্টিক সার্জারির পথ বেছে নেন। ‘দঙ্গল’ ছবির সময় অভিনেত্রীকে প্রস্তাব দেওয়া হয় চোয়ালে অস্ত্রোপচার করানোর। সান্যা অবশ্য সে সময় রাজি হননি বলেই দাবি করলেন এক সাক্ষাৎকারে। তিনি বলেন, ‘‘আমি শুনেই চমকে যাই! চোয়ালে সার্জারি যে হয় সেটাই জানতাম না। আমি নিজের চেহারা নিয়ে ভীষণ আত্মবিশ্বাসী। এ ভাবে আমাকে কেউ যদি ছবিতে নিতে চায় তো নিক, না হলে আমারও দরকার নেই।’’