(বাঁ দিক থেকে) রশ্মিকা মন্দানা, পরিণীতি চোপড়া, সন্দীপ রেড্ডি বঙ্গা। ছবি: সংগৃহীত।
‘অর্জুন রেড্ডি’ এবং ‘কবীর সিংহ’-এর পরে পরিচালক হিসাবে সন্দীপ রেড্ডি বঙ্গার তৃতীয় ছবি ‘অ্যানিম্যাল’। প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই বক্স অফিসে দুরন্ত ব্যবসা করছে রণবীর কপূর অভিনীত এই ছবি। বক্স অফিসে প্রায় ১০০০ কোটির ব্যবসা করেছে এই ছবি। সাফল্যের পাশাপাশি ছবি সংক্রান্ত বিতর্কও বেড়েছে পাল্লা দিয়ে। নিজের ছবিতে উগ্র পৌরুষ এবং হিংসার উদ্যাপন দেখিয়েছেন পরিচালক, অভিযোগ দর্শক এবং সমালোচকদের একটা বড় অংশের। শুধু তাই-ই নয়, নিজের প্রথম দুই ছবির মতো এই ছবিতেও নাকি নায়িকাদের ভোগ্যপণ্যের নজরেই দেখিয়েছেন বঙ্গা, অভিযোগ সংবেদনশীল দর্শকের। যদিও ব্যবসায়িক দিক নজরে রাখলে এই ছবি ‘সুপারহিট্’। তবে এ বার ছবি নায়িকা বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন পরিচালক। ক্ষমা চেয়ে নিলেন পরিণীতি চোপড়ার কাছে।
ছবিতে রণবীরে বিপরীতে দেখা যায় রশ্মিকা মন্দনাকে। অভিনেতার স্ত্রী গীতাঞ্জলির চরিত্রে দেখা গিয়েছে তাঁকে। যদিও রশ্মিকা অভিনীত চরিত্রটি নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। কখনও রশ্মিকার সংলাপ নিয়ে, কখনও রশ্মিকার শারীরিক গঠন নিয়ে মন্তব্য করেন রণবীর। সেই মন্তব্যে বেজায় চটেছেন দর্শকরা। নায়িকা তাঁর প্রেমিকা বলেই কি তাঁর চেহারা নিয়ে যে কোনও মন্তব্য করতে পারেন নায়ক? প্রশ্ন দর্শকের। তবে রশ্মিকার আগে রণবীরের বিপরীতে এই চরিত্রটি করার কথা ছিল পরিণীতির। গীতাঞ্জলি চরিত্রের জন্য পরিণীতিকে দু-বছর আগেই চুক্তিবদ্ধও করে নেন পরিচালক। কিন্তু শেষমেশ সন্দীপের ছবির নায়িকা হয়ে ওঠা হয়নি পরিণীতির। এই খবর চার কান হতেই এক সাক্ষাৎকারে পরিণীতি জানান, যে সময় ‘অ্যানিম্যাল’-এর প্রস্তাব দেওয়া হয় পরিণীতিকে, সেই একই সময় তাঁর কাছে ইমতিয়াজ় আলির ছবি ‘চমকিলা’র প্রস্তাব আসে। চিত্রনাট্য পড়ে পরিণীতির মনের হয়, ‘অ্যানিম্যাল’-এ প্রস্তাবিত চরিত্রটিকে খুব একটা গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। সে কারণে তিনি সরে আসেন। এ বার সত্যিটা প্রকাশ্যে এনে সন্দীপ বলেন, ‘‘আসলে ভুলটা আমার। পারলে আমাকে ক্ষমা কর। শুটিং শুরুর প্রায় দেড় বছর আগে পরিণীতির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হই। কিন্তু ওঁর মধ্যে আমি কখনই গীতাঞ্জলিকে দেখতেই পাইনি, আসলে কিছু কিছু চরিত্র সবার জন্য নয়।’’