(বাঁ দিকে) সামান্থা রুথ প্রভু, নাগা চৈতন্য। ছবি: সংগৃহীত।
কংগ্রেস নেত্রী তথা তেলঙ্গানার পরিবেশমন্ত্রী কোন্ডা সুরেখা বুধবার দাবি করেন, রাজনৈতিক কারণে বিচ্ছেদ হয়েছিল সামান্থা রুথ প্রভু ও নাগা চৈতন্যের। কোন্ডা সুরেখা দাবি করেন, তেলঙ্গানা বিধানসভার মন্ত্রী তথা ভারত রাষ্ট্র সমিতির নেতা কেটিআর-এর (কেটি রামা রাও) ইন্ধনেই নাকি বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে নাগা চৈতন্য ও সামান্থার। শ্বশুর নাগার্জুনই নাকি সামান্থাকে কেটিআর-এর কাছে যেতে বাধ্য করতে চেয়েছিলেন রাজনৈতিক স্বার্থে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সামান্থা নাকি রাজি হননি। সেই কারণেই ভেঙে যায় বিয়ে। নেত্রীর এমন মন্তব্য সারা দেশে শোরগোল ফেলে দেয়। সামান্থাকে নিয়ে এমন রুচিহীন মন্তব্য করার জন্য তেলঙ্গানার ওই মন্ত্রীকে তীব্র রোষের মুখ পড়তে হয়। এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিবৃতি দিয়েছিলেন সামান্থার প্রাক্তন স্বামী নাগা চৈতন্য। সেখানেই যেন ফের অসম্মানের ইঙ্গিত নাগার তরফ থেকে এমনটাই ধারণা অনুরাগীদের। বিবৃতির কোথাও সামান্থা নাম উচ্চারণ করেননি তিনি। কেবলই ‘প্রাক্তন’ বলে উল্লেখ করে গিয়েছেন। তাতেই নাগার উপর রুষ্ট হয়েছেন নেটপাড়ার একাংশ।
নাগার এই পোস্ট দেখে এক জন মন্তব্য করেন, “বার বার ‘প্রাক্তন স্ত্রী’ সম্বোধন করলেন। অথচ একবারও সামান্থার নাম উচ্চারণ করলেন না!” আর এক জন সমাজমাধ্যমে লেখেন, “সামান্থার নাম কি মুখেও আনা যায় না?” এ বার যেন অনুরাগীদের পক্ষ নিলেন সামান্থা। নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট দিয়ে লেখেন, ‘‘অন্যদের থেকে আলাদা হতে গেলে, বিরাট কিছু করার দরকার পড়ে না।’’ এর আগেও নানা সময় প্রাক্তন স্বামীকে নিয়ে নানা ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। এ বারও নাম না নিয়ে আকার ইঙ্গিতে মনের কথাটা বুঝিয়ে দিলেন অভিনেত্রী।