(বাঁ দিকে) অনন্ত অম্বানী-রাধিকা মার্চেন্ট, সলমন খান। ছবি: সংগৃহীত।
গত সাত দিন ধরেই মুম্বই শহরে হইহই কাণ্ড। ধনকুবের মুকেশ অম্বানীর কনিষ্ঠ পুত্র অনন্ত অম্বানীর বিয়ে। ১২ জুলাই ছিল বিয়ে, তার পর ১৩ জুলাই ‘শুভ আশীর্বাদ’-এর অনুষ্ঠান। ১৪ জুলাই ছিল ‘মঙ্গল উৎসব’। ১৫ তারিখ ‘রিসেপশন’। তার আগে প্রায় সাত দিন ধরে চলেছে ‘সঙ্গীত’, গায়ে হলুদ-সহ নানা ধরনে আচার-অনুষ্ঠান। অম্বানী বাড়ির সব ক’টি অনুষ্ঠানেই বসেছে তারাদের মেলা। অনন্তের বরযাত্রীতে সামিল হল শাহরুখ খান, সলমন খান থেকে প্রিয়ঙ্কা চোপড়া, মাধুরী দীক্ষিতরা। ঢোলের তালে পা মেলালন ‘থালাইভা’ রজনীকান্ত। ‘ঝুমে জো পাঠান’ গানের তালে নাচেন শাহরুখও। মাধুরী নাচেন ‘চোলি কে পিছে’ গানে। ক্যাটরিনা না নাচলেও ‘চিকনি চামেলি’ গানে তুমুল নাচেন প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। ছিলেন নতুন প্রজন্মের তারকারাও। কিন্তু একবারও নাচে দেখা যায়নি সলমনকে। এ বার অনন্ত-রাধিকার বিয়ের অনুষ্ঠান মিটতে না মিটতেই অম্বানী-পুত্রকে শর্ত দিয়ে বসলেন ‘ভাইজান’।
অনন্তের বিয়েতে না নাচলেও জামনাগরে তাঁর প্রাক্ বিবাহ অনুষ্ঠানে নাচতে দেখা গিয়েছিল ভাইজানকে। অনন্তের সঙ্গে বরাবরই ভাল সম্পর্ক সলমনের। অনন্তও তাঁকে নিজের বন্ধু বলে মনে করেন, বড় ভাইয়ের মতো সম্মান করেন। সোমবার সলমন সমাজমাধ্যমে মুকেশ অম্বানীর পুত্র ও পুত্রবধূর ছবি দিয়ে লেখেন, “অনন্ত আর রাধিকা, মিস্টার অ্যান্ড মিসেস অনন্ত আম্বানি। আমি দেখেছি তোমরা একে অপরকে আর নিজেদের পরিবারকে কতটা ভালোবাসো। এই গোটা বিশ্বশক্তিই তোমাদের একসঙ্গে নিয়ে এসেছে। জীবনে সব সুখের ভাগীদার হও। ঈশ্বর তোমাদের মঙ্গল করুন।আমি সেই দিন নাচব। যেদিন তোমরা বাবা-মা হবে।” এমনিতেই যে কোনও অনুষ্ঠানই মহা ধুমধামে উদ্যাপন করেন অম্বানীরা। ছেলের বিয়ের পর্ব মিটতে না মিটতেই শোনা যাচ্ছে আরও একটি অনুষ্ঠান হবে লন্ডনে। তবে ভাইজানের এই আবদার শুনে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি অনন্ত-রাধিকার কেউই।