‘কিশমিশ’-এ আরও একবার দেখা যাবে দেব-রুক্মিণীর রসায়ণ।
দুই সময়ের ছবি দিলেন দেব-রুক্মিণী। একটি ছবিতে তাঁরা কলেজ জীবনে ফিরে গিয়েছেন। রুক্মিণীর কমলালেবু রঙের টি-শার্ট আর নীল হট প্যান্টে জড়িয়ে আছেন লাল টি-শার্টের দেব। অন্যটি, সময় থেকে এগিয়ে যাওয়ার ছবি। কাঁচা পাকা চুলে পাঞ্জাবি পরা দেব। চুল বাঁধা রুক্মিণীর কপালের টিপ দেবের বোতামের আদলে।
কেন এ ভাবে দুই সময়ের ছবি? আনন্দবাজার অনলাইনকে রুক্মিণী বললেন, "এটাই তো 'কিশমিশ'-এর রহস্য। আমার আর দেবের প্রেমের দুটো প্রেক্ষিত থাকছে ছবিতে। এত দিন মানুষ আমাকে আর দেবকে বিয়ে করতে, একে অপরের বিরুদ্ধ চরিত্র করতে দেখেছে। 'কিশমিশ'এ এই প্রথম আদ্যোপান্ত প্রেমের ছবি দেখতে পাবে"। তিনটি প্রজন্ম এবং তাদের সম্পর্ক নিয়ে ভিন্ন ভাবনায় তৈরি এই ছবি।
দেব এন্টারটেইনমেন্টস ভেঞ্চারসের প্রযোজনায় পরিচালক রাহুল মুখোপাধ্যায়ের প্রথম কাজ 'কিশমিশ'। আনন্দবাজার অনলাইনকে দেব বললেন, “আমার একটাই বদভ্যাস। আমি একই চরিত্র বারবার করি না। ‘টনিক’ দেখতে দেখতে দর্শক এ বার প্রেমের বিভিন্ন চরিত্রে দেবকে দেখতে পাবে।”
রুক্মিণীর মনে আসছে ২০১৯-এর কথা। তিনি বললেন, "২০১৯- এ যখন ছবির চিত্রনাট্য শুনি, তখনই মনে হয়েছিল অতিমারির এই রুক্ষ জীবনে 'কিশমিশ' প্রেমের স্বাদ নিয়ে আসবে।"
দেবকে দেখা যাবে কমিক বুক আর্টিস্ট কৃশানুর চরিত্রে। কোঁকড়া চুল, গোল ফ্রেমের চশমায় কৃশানু ওরফে দেবকে দেখে ইতিমধ্যেই উৎসাহিত অনুরাগীরা। দেবের কথায়, “একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে প্রেমে পড়লে তার বাড়ির লোক এবং পরিস্থিতি কেমন হয়। তা-ই জানাবে ‘কিশমিশ’। আমাকে আর রুক্মিণীকে চার চেহারায় দেখা যাবে।” ছবি মুক্তির কথা ছিল ২০২১-এর পুজোয়। করোনার জন্য মুক্তি আটকে যায়। কিন্তু ২৯ এপ্রিলই কেন? রুক্মিণী বললেন, "টনিক এখনও হাউজফুল। টনিকের এই জনপ্রিয়তার আবহাওয়ায় দেবের 'কিশমিশ'-এর মুক্তির দিন ঘোষণা খুবই যুক্তিসঙ্গত। আশা করছি বাঙালি নববর্ষের পরে আরও বেশি করে প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে ছবি দেখবে।"
চমক হিসেবে ছবিতে রয়েছে তিন জন প্রথম সারির অভিনেতার উপস্থিতি। ক্যামিও চরিত্রে যিশু সেনগুপ্ত, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত এবং পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এ ছাড়াও অভিনয় করছেন খরাজ মুখোপাধ্যায়, কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, জুন মালিয়া, অঞ্জনা বসু, লিলি চক্রবর্তীর মতো শিল্পীরা। ছবির সিনেমাটোগ্রাফির দায়িত্ব সামলাচ্ছেন মধুরা পালিত। গত কয়েক বছরে মধুরা নিজের দক্ষতায় একের পর এক ছবিতে প্রশংসা কুড়িয়েছেন। ছবির সঙ্গীত পরিচালনা নীল চট্টোপাধ্যায়ের।