Rudranil Ghosh

Rudranil Ghosh: ‘বাপ্পাদা’দের ঘামের গল্প কেউ শোনেন না, সবার পছন্দ হালফ্যাশনের সুগন্ধি, জানালেন রুদ্রনীল

অভিনেতার কলম শুরু থেকেই তাঁদের কথা বলেছে, যাঁরা মাঝারি বা ছোট পুজোর উদ্যোক্তা।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০২১ ২০:০৫
রুদ্রনীল ঘোষ।

রুদ্রনীল ঘোষ।

সপ্তমীতে পুজো উপহার দিলেন রুদ্রনীল ঘোষ। কবিতা লিখলেন প্রতি পাড়ার ‘বাপ্পাদা’দের নিয়ে। যাঁরা একটি পুজোর শুরু এবং শেষ। অথচ তাঁদের খবর কে রাখে? আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে অভিনেতা-রাজনীতিবিদের দাবি, ‘‘আমি চিনি এঁদের। নিজের চোখে দেখেছি। আমিও একটা সময় পুজো উদ্যোক্তা ছিলাম।’’ তাঁর আক্ষেপ, পুজোর সব ঝক্কি সামলাতে গিয়ে এঁদের পাঞ্জাবি ঘামে ভেজে। বাকিদের পোশাক থাকে নিভাঁজ, শুকনো। কিন্তু অন্যরা তা দেখেও দেখতে চান না। তাঁরা হালফ্যাশনের সুগন্ধির খোঁজ করেন। তাই রুদ্রনীলের পুজোর কবিতায় জায়গা করে নিয়েছেন রাজ্যের সমস্ত বাপ্পাদা আর তাঁদের ঘামে ভেজা পাঞ্জাবির গল্প।

অভিনেতার কলম শুরু থেকেই তাঁদের কথা বলেছে, যাঁরা মাঝারি বা ছোট পুজোর উদ্যোক্তা। যাঁদের পুঁজি কম। কিন্তু সবার সাধপূরণের গুরুদায়িত্ব দশমী পর্যন্ত বয়ে বেড়ান। কারওর চাই কুমোরটুলির ঠাকুর। কারওর সাধ, দিনরাত প্যান্ডেলে বাজবে রবীন্দ্রগান। প্যান্ডেলের পিছনে আধো অন্ধকারে পাড়ার ছেলেমেয়ের নিভৃত মিলনেও পাঁচিল তোলার দায়ও বাপ্পাদাদেরই, বক্তব্য সবার। এদের আটকাতেই বাড়তি আলো জোগাতে হয় তাঁদের। এ সব সম্ভব হয় কী করে? তা শুধু বাপ্পাদারাই জানেন!

Advertisement

এ ভাবেই কবিতার প্রতি পংক্তিতে উঠে এসেছে আলোর আড়ালে দাঁড়িয়ে ঘাম মোছা মানুষদের গল্প। যাঁরা সমাজ, সংসার বাদ দিয়ে পাড়ার লোকেদের মুখে হাসি ফুটিয়ে যান প্রতি বছর। কী ভাবে ফোটান? রুদ্রনীলের কথায়, খবর রাখেন না কোনও নেতা-মন্ত্রী, সংবাদমাধ্যম, বিজ্ঞাপনদাতারা। কারণ, সবাই তারকাদের পুজো নিয়ে ব্যস্ত। রাজনীতির বদলে বাপ্পাদাদের কথা বলতেই খুশি রুদ্রনীলের অনুরাগীরা। বহু দিন পরে সবাই সমর্থন জানিয়েছেন তাঁকে। আন্তরিক শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন।

যদিও রুদ্রনীলের আরও আক্ষেপ রয়েই গিয়েছে। তাঁর আফসোস, ‘‘গ্রামের চাষীরাই কিন্তু প্রতি বছর ঢাকি হয়ে শহরে আসেন। ঢাক বাজান। এ বছর এখনও বন্যার জলের নীচে বহু গ্রাম। ধান বাঁচানোর পাশাপাশি তাঁরা কি ঢাক বাঁচাতে পারলেন? এ বারের পুজোয় তা হলে কারা ঢাকি হয়ে ঢাক বাজাবেন? জানা হল না।’’

আরও পড়ুন
Advertisement