ঋত্বিকের স্ত্রী অভিনেত্রী অপরাজিতা ঘোষ নিজে এক জন উচ্চপ্রশংসিত অভিনেত্রী। বাড়িতে নিজেরা অভিনয় নিয়ে আলোচনা করেন। চর্চা হয়। সেখান থেকে শিখতেও পারেন তাঁরা। কিন্তু দু’জনের মধ্যে কোনও প্রতিযোগিতা নেই।
ঋত্বিক চক্রবর্তী
অনেকে বলেন, বাংলা ছবির জগতে ঋত্বিক চক্রবর্তীর মতো অভিনেতা নেই, জন্মাবেও না। ‘শব্দ’, ‘বাকিটা ব্যক্তিগত’, ‘পরিণীতা’ থেকে শুরু করে ‘আসা যাওয়ার মাঝে’, ‘দ্য ভায়োলিন প্লেয়ার’- ঋত্বিকের অভিনয়ে মুগ্ধ হয়েছেন বাংলা ছবির সিংহভাগ দর্শক। তাঁর এই অভিনয় ক্ষমতার গোড়ার কথা কী? কী ভাবে সেই ক্ষমতায় শান দেন তিনি? আনন্দবাজার অনলাইনের শনিবাসরীয় লাইভ আড্ডা ‘অ-জানাকথা’য় ঋত্বিক নিজেই জানালেন তাঁর চর্চা, অনুশীলন এবং ব্যাকরণের কথা।
ঋত্বিক বলেন, ‘‘আমি ছবি দেখে অভিনয় শিখি না। ছবি দেখি বাকিদের মতোই, বিনোদনের জন্য। কারও অভিনয় দেখে মুগ্ধ হই। কিন্তু সেখান থেকে অভিনয় শিখি না। আমার শিক্ষা জীবন আর মানুষকে পর্যবেক্ষণ করে। তবে তার জন্য চারপাশের জগৎ, জীবন সম্পর্কে জানা আর বিভিন্ন বিষয়কে আত্মস্থ করে নেওয়ার ক্ষমতা থাকতে হয় বলে আমার মত। তবেই আমি সেটা পর্দায় প্রতিফলিত করতে পারব।’’
ঋত্বিকের স্ত্রী অভিনেত্রী অপরাজিতা ঘোষ নিজে এক জন উচ্চপ্রশংসিত অভিনেত্রী। বাড়িতে নিজেরা অভিনয় নিয়ে আলোচনা করেন তারকা দম্পতি। চর্চা হয়। সেখান থেকেও শেখার সুযোগ থাকে একে অন্যের দৃষ্টিভঙ্গিকে কাজে লাগিয়ে।
দু’জনে একই পেশায়। প্রতিযোগিতা হয় না? হাসতে হাসতেই ঋত্বিকের দাবি- ভিন্ন লিঙ্গের মানুষ তাঁরা, তাই একে অপরের চরিত্র ছিনিয়ে নেওয়ার কোনও আশঙ্কা থাকে না!