ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। ফাইল চিত্র।
ওরা না পারে নিজেদের কষ্ট বোঝাতে। না পারে গুছিয়ে নিজেদের কথা বলতে। অতিমারি কিন্তু এই ধরনের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদেরও ছাড়ছে না। কিন্তু এদের কথা ভাবছেন ক’জন? হাতগোনা কিছু ব্যক্তিত্ব হয়তো এই দলে রয়েছেন। তাঁদেরই অন্যতম ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। যিনি সিঙ্গাপুরে বসে শহর কলকাতার এই বিশেষ শিশুদের জন্য প্রতিষেধকের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
এই ধরনের ভাবনা কী ভাবে এল তাঁর মাথায়? আনন্দবাজার ডিজিটালকে ঋতুপর্ণা জানিয়েছেন, অভিরূপ সেনগুপ্তের ‘প্রয়াস’ সহ একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে তিনি যুক্ত। সেই সব সংস্থায় বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের পাশাপাশি থ্যালাসেমিয়া, ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশুদেরও তিনি খুব কাছ থেকে দেখেছেন। বুঝেছেন, এই ধরনের শিশুরা অতিমারিতে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ শিশুদের থেকে কত বেশি অসহায় হয়ে পড়ে। সেই অনুভূতি থেকেই তাঁর এই চেষ্টা।
ঋতুপর্ণার এই প্রচেষ্টা বাস্তবায়িত হচ্ছে চিকিৎসক রূপালি বসুর তত্ত্বাবধানে। শিশুদের পাশাপাশি পূর্ণবয়স্কদের চিকিৎসার জন্য শয্যা, অক্সিজেন, ওষুধ এবং চিকিৎসা পরিষেবার ব্যবস্থা করবে কলকাতার প্রথম সারির বেসরকারি হাসপাতালটি। এছাড়াও, অভিরূপ, পিয়ালি দত্ত এবং অভিনেত্রীর তৈরি কমিউনিটি ‘কিচেন ১’ ৪০০ কোভিড আক্রান্তের বাড়িতে খাবার পৌঁছে দিয়েছে। পাশাপাশি, কোভিডে মাতৃ-পিতৃহীন অনাথ শিশুদের পাশেও থাকছেন বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী।