‘পাঠান’ বিরোধীদের একহাত নিলেন অভিনেতা ঋদ্ধি সেন। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
প্রতি দিনই নজির গড়ছে ‘পাঠান’। একটা সাফল্য ছাপিয়ে যাচ্ছে অন্যটাকে। দেশ জুড়ে শাহরুখ খানের ম্যাজিক। কিন্তু কম বিতর্ক তো হয়নি এই ছবি ঘিরে। বয়কট রব, শাহরুখের পরলৌকিক ক্রিয়া সবই হয়েছে দেশের বিভিন্ন অংশে। তবে ‘পাঠান’-র সাফল্যের পর বলিউড ইন্ডাস্ট্রির একটাই কথা— হিংসার ঊর্ধ্বে উঠে জয় হয়েছে ভালবাসার। বয়কট প্রসঙ্গে একে একে মুখ খুলছেন বলি তারকারা। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন কর্ণ জোহর, আলিয়া ভট্ট, করিনা কপূররা। এ বার ‘পাঠান’ বিরোধীদের একহাত নিলেন টলিউডের অন্যতম সম্ভাবনাময় অভিনেতা ঋদ্ধি সেন।
ঋদ্ধি নিজের সমাজমাধ্যমের পাতায় লেখেন, ‘‘পাঠান চলচ্চিত্র হিসেবে কেমন, সেটা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ থাকতে পারে। কারও জঘন্য লাগতে পারে, কারও খুব ভাল। কিন্তু ‘পাঠান’ এই বয়কট দলের গালে একটা বড় থাপ্পড়।’’ রাজনীতি থেকে সমাজনীতি, সিনেমা যে কোন বিষয়ে বলিষ্ঠ মতামত দেন ঋদ্ধি। তাঁর কথায়, ‘‘ছবি হিসেবে কেমন সেটা নিয়ে তর্ক থাকুক, থাকবেই, বাণিজ্যিক ছবির ভাষার দিক থেকেও ‘পাঠান’ একঘেয়ে। কিন্তু ‘পাঠান’ এ-ও প্রমাণ করল যে, কেউ ভারতবর্ষের নাগরিকদের হুকুম করে বলে দেবে না তাঁদের কোন ছবি দেখা উচিত আর কোন ছবি বয়কট করা উচিত।’’
‘পাঠান’ ছবিতে বিতর্কের সৃষ্টি যে গানকে কেন্দ্র করে, সেটি ‘বেশরম রং’। এই গানে দীপিকা পাড়ুকোনের গেরুয়া বিকিনি নিয়ে মাথাব্যথার অন্ত ছিল না দেশের দক্ষিণপন্থী নেতাদের। তাঁদের উদ্দেশে অভিনেতা লেখেন, ‘‘কোনটা সভ্য পোশাক আর কোনটা অসভ্য। কার পদবি কী, কোনটা সৌজন্যবোধ আর কোনটা নয়, গেরুয়া রং পোশাকে ব্যবহৃত হবে না হলুদ। ক্ষমতার নির্দেশ দেওয়া এই সব সংস্কারি ভারতীয় নাগরিক হওয়ার পাঠকে জনগণ বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে।’’