ফের বিস্ফোরক রত্না শাহ পাঠক। সংগৃহীত চিত্র।
নাসিরুদ্দিন শাহের মতোই স্পষ্টভাষী তাঁর অভিনেত্রী স্ত্রী রত্না পাঠক শাহ।বিনোদন থেকে বন্ধুত্ব— যে কোনও বিষয়ে কথোপকথনের সময় নিজের বক্তব্য নিয়ে দ্বিধা নেই তাঁর। সাম্প্রতিক একটি ভাইরাল ভিডিয়ো আবারও সে দিকেই ইঙ্গিত করছে। সম্ভবত একটি টক শোয় রত্না আমন্ত্রিত ছিলেন। সেখানে তিনি মুখ খোলেন ‘আরআরআর’, ‘অ্যানিম্যাল’ নিয়ে। সাফ জানান, সন্দীপ রেড্ডি বঙ্গার ‘অ্যানিমেল’ তিনি দেখতেই যাননি। কারণ, ছবির পোস্টার দেখে তাঁর খুব অস্বস্তি হয়েছিল। সেখানে বীভৎসতা এতটাই বেশি যে, তিনি প্রচণ্ড ভয় পেয়েছিলেন! এই প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘‘দক্ষিণী ছবিতে আগেও যৌনতা আর হিংসা অন্য রকম ভাবে দেখানো হত। সেই ধারা চলেই আসছে। আজও একই ভাবে দক্ষিণের পরিচালকেরা যৌনতা আর হিংসা অন্য রকম ভাবে দেখান।’’
৬৬ বছরের অভিনেত্রীর আরও দাবি, এই দুই উপাদান ওই ইন্ডাস্ট্রির ছবিতে উঁচু তারে বাঁধা। যা তাঁর পছন্দ নয়। তাই ‘অ্যানিম্যাল’ ব্লকবাস্টার হলেও তিনি ছবিটি দেখার প্রয়োজন বোধ করেননি। কথাপ্রসঙ্গে উঠে আসে সহ-অভিনেতাদের সঙ্গে তাঁর মতের মিল-অমিলের কথা। সঞ্চালকের প্রশ্ন, পরেশ রাওয়াল, অনুপম খেরের সঙ্গে অভিনেত্রীর রাজনৈতিক আদর্শ এবং জীবনাদর্শ হয়তো একেবারেই মেলে না। তার পরেও পেশার খাতিরে ওঁদের সঙ্গে তাঁকে অনেক ছবিতেই অভিনয় করতে হয়েছে। কখনও এই নিয়ে মতান্তর হয়েছে?
এ বারেও অকপট রত্না। তাঁর সাফ জবাব, ‘‘ওঁরা আমার বন্ধু। আমরা একসঙ্গে পেশাজীবনে পা রেখেছি। এক সঙ্গে বড়-ও হয়েছি। সেই জায়গা থেকেই বলছি, মতের অমিল থাকতেই পারে। তার মানেই তাকে ছেঁটে দিতে হবে, এই ধারায় আমি বিশ্বাসী নই।’’ অভিনেত্রী এটুকুতেই থামেনি। তাঁর জোরালো অভিযোগ, এই প্রজন্ম অবশ্য এই ধারাতেই বিশ্বাসী। কারও সঙ্গে মতে না মিললেই তাকে বাতিল করে দেয় তারা। তাঁর কথায়, ‘‘একুশ শতকের এই আচরণ একেবারেই মেনে নিতে পারি না। কেন মতে না মিললে তাকে বাতিল করে দেব? অনুপম, পরেশ তাই আমার ভাল বন্ধু। নানা বিষয়ে হাজার অমিল থাকা সত্ত্বেও।’’