গাহর্স্থ্য হিংসার শিকার রতি অগ্নিহোত্রী। সংগৃহীত।
আশির দশক থেকে নব্বইয়ের দশক পর্যন্ত হিট বলিউড ছবির নায়িকা তিনি। তাঁর অভিনয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন দর্শক থেকে সমালোচক, সকলেই। কমল হাসানের সঙ্গে ‘এক দুজে কে লিয়ে’ ছবি সেই সময় বক্স অফিস কাঁপিয়েছিল। এই ছবিতে ভালবাসার জন্য জীবন দেন নায়িকা। তার পর বহু অভিনেতার সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি।রতির প্রায় প্রতিটি ছবি হিট। ১৯৮৫ সালে আচমাকই পেশায় স্থপতি অনিল ভিরওয়ানিকে বিয়ে করে নেন তিনি। তার পর থেকেই অভিনয়ের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে তাঁর। নব্বইয়ের দশকের দিকে পাকাপাকি ভাবে অভিনয় জগৎ থেকে বিদায় নেন। স্বামী-সন্তান নিয়ে সংসার করবেন এই আশায়। তবে রতির সঙ্গে হল উল্টোটা। বিয়ের পর থেকেই ক্রমাগত গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হন অভিনেত্রী। কী কী হয়েছিল তাঁর সঙ্গে?
সচ্ছল পরিবারে বিয়ে হয় অভিনেত্রীর। খুব যে সুখের ছিল সেই বিয়ে, তেমনটা নয়। নিত্যদিন অশান্তি। প্রায়ই দিন রতিকে মারধর করতেন তাঁর স্বামী। একটা সময় এমন বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে যায়, পুলিশি অভিযোগ করতে বাধ্য হন তিনি। প্রায় ত্রিশ বছর ধরে এই অত্যাচার সহ্য করেন অভিনেত্রী। শুধু মারধর নয়, তাঁকে খুনের চেষ্টাও করেন তাঁর স্বামী, অভিযোগ রতির। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থাতেও চলেছে অত্যাচার। বিয়ের দু’বছরের মাথায় পুত্রসন্তানের মা হন অভিনেত্রী।
ছেলে তনুজ এখন অনেকটা বড়। একটা সময় ছেলের জন্যই নাকি সব কিছু মুখ বুজে সহ্য করে নেন। অবশেষে এক দিন ছেলের সামনে আসে তাঁর স্বামীর আসল রূপ। রতির কথায়, ছেলে আমাকে নতুন জীবন দিয়েছে। একটা দীর্ঘ সময় ক্যামেরার থেকে দূর থাকলেও, অবশেষে ২০০১ সালে কাজে ফেরেন। ২০১৫ সালে স্বামীর বিবাহবিচ্ছেদ হয় তাঁর।