গোয়ার রাস্তায় ও সমুদ্র সৈকতে দিতিপ্রিয়া রায়।
দক্ষিণেশ্বর থেকে গোয়া। রাজত্ব বিস্তার করে চলেছেন রানিমা। আর সবখানে তিনিই স্পটলাইটে। তা সে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবই হোক বা দামাল বিস্তীর্ণ সমুদ্র! আনন্দবাজার ডিজিটালে নিজের ‘গোয়া লুক’-এর ছবি প্রকাশ করলেন অভিনেত্রী দিতিপ্রিয়া রায়।
‘অভিযাত্রিক’ ছবির স্ক্রিনিং ছিল ভারতীয় আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে। সেই উপলক্ষ্যে গোয়াতে গিয়েছেন দিতিপ্রিয়া রায়, অভিনেতা অর্জুন চক্রবর্তী সহ ‘অভিযাত্রিক’-এর বাকি কলাকুশলীরা। স্ক্রিনিং ও সাংবাদিক সম্মেলনের পর উৎফুল্ল দিতিপ্রিয়া। আনন্দবাজার ডিজিটালের সঙ্গে কথা বলার সময়ে দর্শকদের প্রতিক্রিয়া নিয়ে কথা বললেন তিনি।
গোয়ায় গিয়েছেন রানিমা! গোয়া ঘোরার গল্প তো শুনতেই হবে। বঞ্চিত করলেন না অভিনেত্রী। বেড়ানোর কিছু ঝলক দিলেন আনন্দবাজার ডিজিটালকে। কাজের ফাঁকে যতটুকু সময় পেয়েছেন, তাতে গোয়ার কিছু কিছু জায়গা দেখে এসেছেন তাঁরা। বেড়ানোর প্রথম পর্ব শেষ। দ্বিতীয় পর্বও শেষের পথে। বৃহস্পতিবার স্ক্রিনিংয়ের আগে ব্যাসেলিকা অব বম জিসাস এবং পনজিম চার্চ ঘুরতে গিয়েছিলেন ‘অভিযাত্রিক টিম’। লাল রঙের অফ শোল্ডার ফ্লোরাল পোশাকে চার্চের সামনে সেলফি তুলে পাঠালেন অষ্টাদশী।
রাস্তাজুড়ে পড়ে রয়েছে হলুদ ফুল। তারই মাঝে হেঁটে যাচ্ছেন রানিমা। লাল, নীল ও সাদা রঙের চেক চেক হাফ জাম্পস্যুট তাঁর পরনে।
স্ক্রিনিং শেষে ক্যান্ডোলিম বিচে সময় কাটালেন দিতিপ্রিয়ারা। সমস্ত কাজ সারার পর ফুরসতে সমুদ্রের বিস্তৃতির সামনে গিয়ে দাঁড়ালেন তাঁরা। দিতিপ্রিয়ার পরনে ছিল গাঢ় নীল হট প্যান্ট ও হালকা নীল রঙের টপ। রাত ১টা পর্যন্ত ক্যান্ডোলিমেই ছিলেন দিতিপ্রিয়া ও তাঁর সঙ্গীরা। তার পর হোটেলে ফিরে লম্বা ‘বিউটি স্লিপ’। ফের শুক্রবার সকাল থেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ করলেন।
দিতিপ্রিয়া জানালেন, ‘‘এই এ বার তৈরি হচ্ছি ক্রুজ পার্টির জন্য। আমাদের প্রযোজক আয়োজন করে রেখেছেন সব কিছু।’’
ক্রুজ পার্টি! কী পরার পরিকল্পনা?
ক্লান্ত দিতিপ্রিয়া জানালেন, ‘‘এখন আর সাজুগুজু করতে ইচ্ছে করছে না। যাতে আরামবোধ করি, সে রকম কিছুই পরব। সম্ভবত এখন যেটা পরে রয়েছি সেটা পরেই ছুটব।’’ জানা গেল, সমুদ্রসৈকতে যে জামা পরেছিলেন, সেটা পরেই ক্রুজ পার্টিতে যাবেন রানিমা।
শনিবার ফিরে আসবেন কলকাতায়। ফের শ্যুট শুরু। রোজকার জীবন আরম্ভ হওয়ার আগে গোয়ার বিস্তীর্ণতায় উড়ে বেড়াতে চাইলেন দিতিপ্রিয়া।