বুধবার জন্মদিনে রাজ্যবাসীকে ধন্যবাদ জানালেন রানি মুখোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।
দু’বছরের বিরতির পর বড় পর্দায় ফিরলেন তিনি। আর মুক্তির পরেই দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে রানি মুখোপাধ্যায় অভিনীত ছবি ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’। গত সপ্তাহে মুক্তি পাওয়া অসীমা ছিব্বর পরিচালিত এই ছবি এখনও পর্যন্ত দেশের বক্স অফিসে ৮ কোটি ৪২ লক্ষ টাকার ব্যবসা করেছে। ছবিতে রানির স্বামীর চরিত্রে অনির্বাণ ভট্টাচার্যের অভিনয়ও দর্শকদের পছন্দ হয়েছে। ছবিতে নরওয়েবাসী বাঙালি দম্পতির চরিত্রে অভিনয় করেছেন রানি এবং অনির্বাণ। ছবির সাফল্যে খুশি রানি।
বুধবার রানি মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিন। শুভদিনের প্রাক্কালে অসমের কামাখ্যা মন্দিরে পুজো দিতেও দেখা গিয়েছে রানিকে। এই রাজ্যেও রানির ছবির ব্যবসা ইতিবাচক। তাই জন্মদিনে বাংলার মানুষদের উদ্দেশে বিশেষ বার্তা দিলেন এই বঙ্গতনয়া। রানি বলেছেন, ‘‘একজন বাঙালি হিসেবে আমি গর্বিত। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ সব সময় আমাকে এবং আমার ছবির পাশে দাঁড়িয়েছেন। তার জন্য আমি তাঁদের কাছে অশেষ কৃতজ্ঞ।’’
বাস্তবে সাগরিকা চক্রবর্তী নামের এক বঙ্গতনয়ার জীবনের একটি তিক্ত অভিজ্ঞতার আদলে তৈরি হয়েছে এই ছবি। ছবিতে রানির অভিনীত চরিত্রের নাম দেবিকা চট্টোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গেই রানি পর্দায় দেবিকা হয়ে ওঠার নেপথ্য আখ্যানের কথা শুনিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘সাগরিকার জীবনের লড়াইকে পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে আমি যথাসম্ভব পরিশ্রম করেছি।’’ এই চরিত্রের জন্য নির্দিষ্ট কাউকে অনুসরণ করেছিলেন কি? রানি বলেন, ‘‘বাঙালি মায়েরা তাঁদের সন্তানদের কতটা আগলে রাখেন, সেটা আমি আমার মাকে দেখে শিখেছি। সাগরিকার মধ্যেও আমি সেটা লক্ষ করেছি। তাই বলতে পারি, এই চরিত্রে অভিনয় করতে আমাকে দু’জন বাঙালি মা অনুপ্রাণিত করেছেন। আজকে চরিত্রটির সঙ্গে দেশের মায়েরা মিল খুঁজে পাচ্ছেন দেখে গর্ববোধ করছি।’’
কেরিয়ারের এই পর্যায়ে দাঁড়িয়ে রানি কোনও পুরস্কারের কথা মাথায় রেখে ছবি নির্বাচন করেন না। এই ছবি থেকে তাঁর প্রত্যাশাও অন্য রকম। রানি বলেছেন, ‘‘দেবিকার চরিত্রটি যদি বিদেশে বসবাসকারী বাঙালি মায়েদের পছন্দ হয়, তা হলে সেটাই আমার কাছে সেরা পুরস্কার এবং ভবিষ্যতে অভিনেত্রী হিসেবে আমাকে আরও চ্যালেঞ্জ নিতে উদ্বুদ্ধ করবে।’’