(বাঁ দিকে) রানি মুখোপাধ্যায়। যশ চোপড়া (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে বলিউড অভিনেত্রী হিসাবে উত্থান তাঁর। ‘রাজা কি আয়েগি বারাত’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে পা রাখলেও ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ ছবির সৌজন্যে দর্শক ও অনুরাগীদের মনে নিজের জায়গা তৈরি করেন রানি মুখোপাধ্যায়। কর্ণ জোহরের ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’-এর সাফল্যের পরে ‘হ্যালো ব্রাদার’, ‘বিচ্ছু’, ‘কহিঁ প্যার না হো যায়ে’-র মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন রানি। কর্ণের ‘কভি খুশি কভি গম’ ছবিতেও বিশেষ একটি চরিত্রে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। শোনা যায়, অভিনয় দক্ষতার কারণে একাধিক ছবির প্রস্তাব পেলেও নিজের জন্য মানানসই চরিত্র না পাওয়ায় একুশ শতকের প্রথম দিকে বেশ মুষড়ে পড়েছিলেন রানি। এমনকি, একের পর এক ছবির প্রস্তাব ফিরিয়েও দিচ্ছিলেন অভিনেত্রী। সেই সময় নাকি তাঁর উপর আরও চটে গিয়েছিলেন বলিউডের কিংবদন্তি পরিচালক ও প্রযোজক যশ চোপড়া।
সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিয়োয় রানি জানান, এক বার নাকি জেদের বশে তাঁর মা-বাবাকেও ঘরে আটকে রেখে দিয়েছিলেন প্রয়াত যশ চোপড়া। ‘মুঝসে দোস্তি করোগে’ ছবির পরে প্রায় আট মাস নাকি একটিও ছবির প্রস্তাবে সায় দেননি রানি। রানি বলেন, ‘‘আমার মা তো ভেবেছিলেন, আমি পাগল হয়ে গিয়েছি। যা যা ছবির প্রস্তাব আসছে, আমি সবেতেই না বলে দিচ্ছি। বেকার বাড়িতে বসে রয়েছি। আমি তখন নিজেই সিদ্ধান্ত নেওয়া শুরু করে দিয়েছিলাম।’’ সেই সময় নাকি তাঁর কাছে ‘সাথিয়া’ ছবিটির প্রস্তাব আসে। দক্ষিণী পরিচালক মণি রত্নমের একটি ছবির হিন্দি সংস্করণ ‘সাথিয়া’। সেই ছবির প্রস্তাবও ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন রানি। অভিনেত্রীর মা-বাবা যশ চোপড়ার কাছে গিয়েছিলেন রানির সিদ্ধান্ত জানাতে। তখনই নাকি রানিকে ফোন করে যশ চোপড়া জানান, ‘সাথিয়া’ ছবির জন্য হ্যাঁ বলা পর্যন্ত তিনি তাঁর মা-বাবাকে নিজের ঘরেই আটকে রাখবেন।
শেষ পর্যন্ত যশ চোপড়ার জেদের কাছে মাথা নুইয়েছিলেন রানি। ‘সাথিয়া’ ছবিতে বিবেক ওবেরয়ের সঙ্গে জুটি বাঁধেন তিনি। ওই ছবি রানির অভিনয় জীবনের অন্যতম সেরা ও সফল কাজের তকমা পেয়েছে। সেই কারণে আজ পর্যন্ত যশ চোপড়ার কাছে কৃতজ্ঞ রানি। ২০১২ সালে প্রয়াত হন বলিউডের নামজাদা পরিচালক ও প্রযোজক। ২০১৪ সালে যশ-পুত্র আদিত্য চোপড়ার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন রানি।