Randeep Hooda

Randeep Hooda: ‘সরবজিৎ’ হতে দিনের পর দিন না খেয়ে কাটাই, মা বলেছিল নিজেকে শেষ করে দিচ্ছি: রণদীপ

পর্দার ‘সরবজিৎ’ হয়ে উঠতে দিনের পর দিন উপোস করে কাটিয়েছিলেন রণদীপ হুডা। নিজের শরীর-স্বাস্থ্য পণ করছেন ছেলে, এমনটা সইতে পারেননি মা-ই।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
মুম্বই শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০২২ ১৫:৩৭
রণদীপ এবং ‘সরবজিৎ’।

রণদীপ এবং ‘সরবজিৎ’।

পর্দার চরিত্র হয়ে উঠতে ঠিক কতটা পরিশ্রম করতে হয় অভিনেতাদের? ছবির চরিত্রকে রক্তমাংসে জীবন্ত করতে কতখানি ঘাম-রক্ত ঝরে? তেমনই এক কঠিন লড়াইয়ের কাহিনি রয়েছে ‘সরবজিৎ’ ছবির আড়ালে। সম্প্রতি যা বেরিয়ে এল নামভূমিকার অভিনেতা রণদীপ হুডা-র কথায়।

‘হাইওয়ে’ থেকে ‘সুলতান’— বরাবরই নজর কেড়ে এসেছেন মডেল-অভিনেতা। এক একটি চরিত্রকে জীবন্ত করে তুলেছেন তাঁর বলিষ্ঠ অভিনয়ে। কিন্তু ২০১৬-র ছবি ‘সরবজিৎ’-এর মূল চরিত্র হয়ে উঠতে শুধু অভিনয় নয়, জরুরি ছিল কঠোর অধ্যবসায়। আর তা করতে গিয়ে নাকি ৩০ কেজি ওজন কমে গিয়েছিল রণদীপের!

Advertisement

কী করে এমনটা ঘটল?

মুম্বই সংবাদমাধ্যমকে এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেন, চরিত্রের বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে গিয়ে তিনি জানতে পেরেছিলেন, কী ভাবে জেলের ছোট্ট কুঠুরিতে প্রায় না খেয়েই দিন কাটত ‘সরবজিৎ’-এর। তাই সেই যন্ত্রণাকে এবং তাঁর মানসিক পরিস্থিতিকে ছুঁতে চেয়ে অভিনেতাও সিদ্ধান্ত নেন, তিনিও উপোস করেই কাটাবেন প্রস্তুতি ও শ্যুটিংয়ের দিনগুলো।

রণদীপের কথায়, ‘‘সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ কেজি ওজন ঝরিয়ে ফেলেছিলাম। যত ওজন কমত, ততই খাওয়া কমিয়ে দিতাম আরও। শেষ ১৮ কেজি ঝরে এ ভাবেই। আমার মা তখন আমার কাছে ছিল। একটা চরিত্রের জন্য ছেলে এ ভাবে না খেয়ে কাটিয়ে এতটা রোগা হয়ে যাচ্ছে, মানতে পারছিল না কিছুতেই। বলেছিল, আমি নিজেকে শেষ করে দিচ্ছি ।শেষমেশ আমার অবস্থা দেখতে না পেরে হরিয়ানায় ফিরে যায় মা।’’

২০১৬-র এই ছবিতে রণদীপ ছাড়াও ছিলেন ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন, দর্শন কুমার প্রমুখ। রণদীপকে শেষ দেখা গিয়েছে ২০২১-এ, প্রভুদেবা পরিচালিত ‘রাধে’ ছবিতে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তেফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

আরও পড়ুন
Advertisement