রণবীর কপূর-সইফ আলি খান। ছবি: সংগৃহীত।
গত ১ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছে সন্দীপ রেড্ডি বঙ্গা পরিচালিত ছবি ‘অ্যানিম্যাল’। প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই বক্স অফিসে দুরন্ত ব্যবসা করছে রণবীর কপূর অভিনীত এই ছবি। এক সপ্তাহ হওয়ার আগেই স্রেফ ভারতীয় বক্স অফিস থেকে ‘অ্যানিম্যাল’-এর ঝুলিতে এসেছে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। শাহরুখ খানকে অনুসরণ করে ‘অ্যানিম্যাল’ ছবির ক্ষেত্রে পারিশ্রমিকের অঙ্ক কমিয়ে লভ্যাংশ ভাগাভাগির পথে হেঁটেছেন রণবীর। তবে ‘অ্যানিম্যাল’ থেকে রণবীরের পাশাপাশি মোটা টাকা উপার্জন করেছেন বলিউডের আরও এক অভিনেতা। তিনি হলেন সইফ আলি খান। কী ভাবে, জানেন?
‘অ্যানিম্যাল’-এ রণবীরের বাড়ি হিসাবে যে ধবধবে সাদা প্রাসাদোপম বাংলো দেখানো হয়েছে, তা আদপে পটৌডী প্যালেস। সইফের কাছ থেকে সেই বাংলো ভাড়া নিয়েছিলেন ‘অ্যানিম্যাল’-এর নির্মাতারা। দিল্লির কাছে অবস্থিত সেই বাংলোতেই শুট করা হয়েছে বঙ্গার ছবির। সইফের সেই বাংলোর মূল্য প্রায় ৮০০ কোটি টাকা। ‘অ্যানিম্যাল’ ছবির জন্য ভাড়া দিয়ে ঠিক কত টাকা রোজগার করেছেন সইফ, তা জানা না গেলেও ‘পটৌডী প্যালেস’-এর মূল্য থেকেই স্পষ্ট— বাংলোর ভাড়ার অঙ্ক নেহাত কম নয়। তবে বলিউড অভিনেত্রী করিনা কপূর খানকে বিয়ে করার ফলে রণবীর সম্পর্কে সইফের শ্যালক হন। সেই জায়গা থেকে কি কিছুটা কম দামেই বাংলো ভাড়া পেয়েছেন রণবীর? খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকে জল্পনা নেটাগরিকদের মধ্যে।
সইফের ঠাকুরদা ইফতিকার আলি খান পটৌডীর বানানো এই পটৌডী প্যালেস। উত্তরাধিকারে সইফের বাবা তথা প্রয়াত ভারতীয় ক্রিকেট তারকা মনসুর আলি খান পটৌডী পান ওই বাংলো। ১০ একর বিস্তৃত ওই বাংলোয় ১৫০টি ঘর আছে। সঙ্গে আছে ৭টি বিলাসবহুল শোওয়ার ঘর, ৭টি সাজঘর, ৭টি বিলিয়ার্ডস খেলার ঘর। এ ছাড়াও রয়েছে একাধিক খাওয়ার ঘর ও বৈঠকখানা। একসঙ্গে ২০-২৫ জন বসে খাওয়ার মতো টেবিলও রয়েছে পটৌডী প্যালেসে। মনসুর আলি খানের মৃত্যুর পর হাতবদল হয়ে এক নামজাদা হোটেলের হাতে চলে যায় পটৌডী প্যালেস। ২০১৪ সালে যদিও নিজের উপার্জিত টাকা দিয়ে পটৌডী প্যালেস সেই হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কিনে নেন সইফ। এখন সেখানে থাকেন সইফের মা ও অভিজ্ঞ বলিউড অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর। বলিউড থেকে হলিউড— একাধিক ছবির শুটিং হয়েছে এই বাংলোয়। জুলিয়া রবার্টসের ‘ইট প্রে লভ’, শাহরুখ খান ও প্রীতি জ়িন্টার ‘বীর জ়ারা’ তাদের মধ্যে অন্যতম। সইফের নিজের ওয়েব সিরিজ় ‘তাণ্ডব’-এরও শুটিং হয়েছিল এই পটৌডী প্যালেসেই।