‘আমার বস’-এর মুক্তির আলোচনায় শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়-রাখি গুলজ়ার? সংগৃহীত চিত্র।
অনেক বছর পরে আবার বাংলা ছবিতে তিনি। রুপোলি পর্দায় কবে দেখা দেবেন? তাঁকে নিয়ে কৌতূহল ছবি ঘোষণার দিন থেকে।
প্রথমে ঠিক ছিল গরমের ছুটিতে আসতে পারেন। পরে একটু পিছিয়ে জুন মাসে। টাটকা খবর, একে বারে শীতকালে বড় পর্দায় ধরা দিতে চলেছেন রাখি গুলজ়ার। তাঁকে নতুন রূপে ফেরাচ্ছেন নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। আনন্দবাজার অনলাইনকে উইন্ডোজ প্রযোজনা সংস্থার অন্যতম কর্ণধার জানিয়েছেন, সব ঠিক থাকলে ক্রিসমাসে মুক্তি পাবে ছবিটি। এও জুড়েছেন, “রাখিজি চাইছেন, তাড়াহুড়ো করে যেন ছবিমুক্তি না হয়। ধীরেসুস্থে, সময় নিয়ে, ভাল ভাবে প্রচারের পর যেন বড় পর্দায় আসে ‘আমার বস’।”
কেন পিছোচ্ছে ছবিমুক্তি? জানতে আনন্দবাজার অনলাইনের তরফ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। শিবপ্রসাদের কথায়, “ছবির মুক্তি পিছিয়ে যাচ্ছে, তার মুখ্য কারণ আমার চোট। প্রায় এক মাসের উপর কোনও কাজ করতে পারিনি। সে ক্ষেত্রে আমাদের মনে হয়েছিল, এত তাড়াহুড়ো করা যাবে না। তাই ছবির মুক্তি পিছিয়ে দেওয়া দরকার।” শিবপ্রসাদের শারীরিক অবস্থা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন রাখি গুলজ়ার নিজেও। সেই জায়গা থেকে তিনিও চেয়েছিলেন, ছবিমুক্তি পিছিয়ে যাক। প্রযোজক-পরিচালক-অভিনেতার কাছে তাঁর আন্তরিক অনুরোধ ছিল, পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যেন তিনি শুটিং বা ছবি প্রচারের কাজে হাত দেন। বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর এই অনুরোধ ফেলতে পারেননি তিনি। সেই জায়গা থেকেও এই পদক্ষেপ।
আরও একটি যুক্তি এ ক্ষেত্রে দিয়েছেন শিবপ্রসাদ। তাঁর কথায়, “এ বারের পুজোয় আমাদের উপহার ‘বহুরূপী’। তার আগে আরও একটা ছবি মুক্তি পেলে কোনও ছবিরই বাণিজ্যিক ফলাফল ভাল হবে না। এই দিকটাও আমরা বিবেচনা করেছি।” পুজোর মতো শীতেও অনেক ছবি মুক্তি পায়। ২১ জুন কিন্তু ছবির ভিড় ছিল না। প্রশ্ন রাখতেই প্রযোজক-পরিচালক এবং ‘আমার বস’-এর নায়কের যুক্তি, “সারা বছর ছবি মু্ক্তি পায়। শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা। তার মধ্যেই প্রত্যেকটি ছবি তার মান অনুযায়ী ব্যবসা করে। নিজের জায়গা করে নেয়। তাই মনে হয় না কোনও অসুবিধে হবে।”