পরিচালক রাজ চক্রবর্তী।
‘বেশি খেলে বাড়ে মেদ!’ প্রজা নয়, খোদ রাজেরই। মানে রাজ চক্রবর্তীর।
শনিবার সকালে তাই নিয়েই ব্যারাকপুর বিধায়কের কপালে চিন্তার ভাঁজ। কী করে পরিচালনা, রাজনীতির কাজকম্মো করবেন? যদিও নিজেই খুঁজে নিয়েছেন তার দাওয়াই। ঠিক করেছেন কম খাবেন। সঙ্গে বেশি পরিশ্রম। যেমন কথা, তেমনই কাজ। সাতসকালে উঠে ছেলে-বউয়ের পথে হেঁটে জিম করা শুরু করে দিয়েছেন। আর সেই ছবি দিয়ে লিখেছেন— ‘আজ থেকে খাওয়া কম কাজ বেশি।’
এর আগে আনন্দবাজার অনলাইনকে রাজ জানিয়েছিলেন, তাঁদের বাড়ির রাঁধুনি রবি দুর্দান্ত পোলাও, বিরিয়ানি আর পাঁঠার মাংস রান্না করেন। সবাই নাকি আঙুল চেটে খান সেই রান্না। ওজন বাড়ার নেপথ্যে কি জমিয়ে খাওয়া? তবে কি এ সব খাবার নিষিদ্ধ হতে চলেছে? পরপর বৈঠকে ব্যস্ত বিধায়ক। তার ফাঁকেই ফোনে আনন্দবাজার অনলাইনকে ফোনে বললেন, ‘‘খাওয়াদাওয়ায় ইতিমধ্যেই লাগাম টেনেছি। সকালে ওটস খাই। দুপুরে একটি ছোট, পাতলা রুটি, সঙ্গে সবজি। বিকেলে মুড়ি জাতীয় হাল্কা কিছু। রাতেও ফের একটিমাত্র রুটি। সঙ্গে পাতলা করে রাঁধা মুরগির মাংস। এ ছাড়া সারা দিনে তিন কাপ কালো কফি।’’ এই খেয়েই কী করে ওজন বাড়ছে, নিজেও বুঝতে পারছেন না পরিচালক!
কথায় বলে, সুখী মানুষদের নাকি হাওয়া খেলেও ওজন বাড়ে! রাজেরও কি তা-ই?
হেসে ফেলেছেন শুভশ্রীর পতি। বলেছেন, ‘‘সুখীর থেকেও বেশি খুশি আমি। দু’বছর অপেক্ষার পর নতুন বছরে ‘ধর্মযুদ্ধ’ মুক্তি পাবে। আবার ছবি পরিচালনা শুরু করব। বাড়ি ফিরে শুভশ্রী, ইউভানকে দেখলেই মন ভাল হয়ে যায়। সেই সঙ্গে ব্যারাকপুরের মানুষ তো আছেনই। সব মিলিয়ে আমার চারপাশে মুঠো মুঠো খুশি ছড়ানো!’’
তার পরেই ‘রাজকীয়’ রসিকতা, ‘‘দুঃখ পাওয়ার উপায়ও খুঁজে বার করেছি। রবিকে বলেছি, খুব খারাপ রান্না কর। আমরা তোমায় বকব। কিন্তু কম খাব। এতে যদি ওজন ঝরে!’’