মুম্বইয়ের দমবন্ধ করা পরিবেশ তাঁকে গিলতে আসে।
ছবির কাজ শেষ হলেই মুম্বই ছেড়ে লন্ডনে উড়ে যান রাধিকা আপ্টে। স্বামীর সঙ্গে ক'টা দিন কাটিয়ে আসেন। শুধু তাই নয়, প্রাণ ভরে শ্বাস নেন। সেখানকার বাতাস অনেক বেশি শুদ্ধ বলে মনে করেন 'পার্চড'-অভিনেত্রী। কেন?
একটি সাক্ষাৎকারে রাধিকা জানিয়েছেন, মুম্বইয়ের দমবন্ধ করা পরিবেশ তাঁকে গিলতে আসে। তাঁর সহকর্মীরা সবাই প্লাস্টিক সার্জারি করে নিজেদের মুখ এবং শরীর বদলাতে ব্যস্ত। সারাক্ষণ যেন কৃত্রিমতার দাস হয়ে রয়েছে ইন্ডাস্ট্রি। এ সবের মধ্যে খুব ক্লান্ত বোধ করেন বছর ছত্রিশের রাধিকা।
তাঁর কথায়, "বয়স তো বাড়বেই। তাই বলে ত্বকের ভাঁজ ঢাকতে একের পর এক অস্ত্রোপচার করে যাব? স্বাভাবিকতা কি এতটাই ঘৃণ্য এখানে?" অথচ, কেউ এক বারও প্রতিবাদ করে ওঠেন না। বলেন না, এটা ভুল। আক্ষেপ 'অন্ধাধুন'-এর অভিনেত্রীর।
তাই কাজের প্রয়োজনে যতটুকু দরকার, মুম্বইয়ের সঙ্গে ততটুকুই সংযোগ রাখেন রাধিকা। এর থেকে বেশি মিশলে তাঁর মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হতে পারে বলে মনে করেন তিনি। সেই সঙ্গে এও জানান, পেশাগত জীবনের আসল চ্যালেঞ্জ হল প্রত্যাখ্যানের ধাক্কা সামলে নিতে শেখা। যা তিনি পেরেছেন।
২০০৫ সালে 'বাহ্' ছবিতে একটি ছোট্ট ভূমিকায় অভিনয় করে বলিউডে অভিষেক রাধিকার। তার পর অভিনয় দক্ষতার জোরেই ১৭ বছর কাটিয়ে দিয়েছেন ইন্ডাস্ট্রিতে। বয়স যতই বাড়ুক, আত্মবিশ্বাসও তুঙ্গে অভিনেত্রীর। বললেন, "কোনও কিছুর সঙ্গে আপস করতে পারি না। শুধুমাত্র যেতে হয় বলেই সব পার্টিতে যাই না কিংবা লোকের সঙ্গে খেজুরে সম্পর্ক রাখি না। আমার মতো করে বাঁচি।"
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।