(বাঁ দিকে) নীলাঞ্জনা সেনগুপ্ত ও যিশু সেনগুপ্ত, রাজর্ষি দে (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
সম্পর্কে ভাঙন ধরেছে যিশু সেনগুপ্ত ও নীলাঞ্জন সেনগুপ্তের। সমাজমাধ্যম থেকে নীলাঞ্জনা সরিয়ে দিয়েছেন ‘সেনগুপ্ত’ পদবি। আর তার পরেই আবেগঘন পোস্টে দুই মেয়ে ও বোনের উল্লেখ থাকলেও কোথাও নেই যিশুর নাম। এর থেকেই জল্পনার সূত্রপাত। এ বার এই বিষয় নিয়ে সমাজমাধ্যমে মুখ খুললেন পরিচালক রাজর্ষি দে।
নীলাঞ্জনার লেখা সেই পোস্ট শেয়ার করে রাজর্ষি এক প্রকার বিচ্ছেদের জল্পনায় সিলমোহর দিলেন। পরিচালক জানান, নীলাঞ্জনার এই পোস্ট দেখে তিনি বেশ কষ্ট পেয়েছেন। রাজর্ষি লিখেছেন, “অনেক কিছুই আজকাল শুনে আর অবাক হই না। কিন্তু কেন জানি না, এইটা দেখার পর থেকে খুব কষ্ট পাচ্ছি।”
তবে রাজর্ষির আশা, সম্পর্কে চিড় ধরলেও, ফের তা জোড়া লাগতে পারে। তাঁর কথায়, “আমি সব সময় ফিল্মি। তাই ‘ডিয়ার জ়িন্দগি’ ছবির মতো ভাবি—‘ হর টুটি হুয়ি চিজ় জোড়ি যা সকতি হ্যায়’।” কিন্তু বাস্তবেও কি ছবির মতোই সব হয়? সেই শঙ্কা প্রকাশ করে পরিচালক যোগ করেন, “সত্যি মনখারাপ হচ্ছে খুব। এই মানুষ দু’জন দূর থেকে বড় কাছের ছিল আমার।”
পরিচালক লেখেন, তিনি অলৌকিকতায় বিশ্বাস করেন। তাঁর জীবনেও বেশ কিছু অলৌকিক ঘটনা ঘটেছে। তাই পোস্টের শেষে রাজর্ষি লেখেন, “সব ঠিক হয়ে যাবে।”
কিছু দিন আগেই নীলাঞ্জনা হাসপাতাল থেকে একটি পোস্ট করেন। হাতে নল লাগানো সেই পোস্ট দেখেই প্রশ্ন ওঠে, কী হয়েছে যিশু-পত্নীর? বুধবার নীলাঞ্জনা তাঁর পোস্টে লেখেন, “যাঁরা আমার খোঁজ নিয়েছেন, ফোন করেছেন, তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ। এই মুহূর্তে আমার সময়ের দরকার। আমার জন্য প্রার্থনা করবেন।” এই পোস্টেই মেয়ে সারা, জ়ারা ও বোন চন্দনা ভৌমিককে নিজের শক্তির উৎস বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।