Gandhi Godse: Ek Yudh Controversy

বাপুর অসম্মান! মুক্তির আগে ফের বিতর্কের মুখে ‘গান্ধী গডসে: এক যুদ্ধ’

তিনি মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারী। অথচ ছবিতে নাকি তারই গুণগান গাওয়া হয়েছে। এই অভিযোগে সাংবাদিক বৈঠক চলাকালীন মুম্বইয়ের প্রেক্ষাগৃহে বিক্ষোভ এক দল দর্শকের।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
মুম্বই শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২৩ ১৭:৪৫
‘ছবিতে গান্ধীর অসম্মান!’, প্রতিবাদে প্রেক্ষাগৃহে বিক্ষোভ এক দল দর্শকের।

‘ছবিতে গান্ধীর অসম্মান!’, প্রতিবাদে প্রেক্ষাগৃহে বিক্ষোভ এক দল দর্শকের। ছবি: সংগৃহীত।

ছবি মুক্তির বাকি মাত্র এক সপ্তাহ। তার আগে ফের বিতর্কের মুখে ‘গান্ধী গডসে: এক যুদ্ধ’। ফের বিক্ষোভের মুখে রাজকুমার সন্তোষী পরিচালিত এই ছবি। মুম্বইয়ের এক প্রেক্ষাগৃহে প্রতিবাদ প্রদর্শন এক দল দর্শকের।

মুম্বইয়ে একটি সাংবাদিক বৈঠক চলাকালীন শুরু হয় এই বিক্ষোভ প্রদর্শন। জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসে, অথচ এই ছবিতে তারই স্তুতি করা হয়েছে, দাবি বিক্ষোভকারীদের। সাংবাদিক বৈঠক চলাকালীন দর্শকের মধ্যেই বসে ছিলেন বিক্ষোভকারীরা। পর্দায় ছবির ট্রেলার দেখানো শুরু হতেই দর্শকদের মধ্যে থেকে বেরিয়ে এসে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করেন তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের হাতে ছিল জাতীয় পতাকা। কেউ কেউ প্রতিবাদস্বরূপ কালো পতাকাও দেখান ছবির নির্মাতাদের। ‘মহাত্মা গান্ধী জিন্দাবাদ’ স্লোগান দিয়ে চলতে থাকে বিক্ষোভ। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

Advertisement

১৯৪৭ সালে স্বাধীন হয় ভারত। ঠিক পরের বছর ১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি গুলি করে মহাত্মা গান্ধীকে হত্যা করে নাথুরাম গডসে। ‘গান্ধী গডসে: এক যুদ্ধ’ ছবিতে এক সমান্তরাল বাস্তবের ছবি আঁকতে চেয়েছেন পরিচালক রাজকুমার সন্তোষী। যদি নাথুরাম গডসের গুলিতে গান্ধীজির মৃত্যু না হত, তা হলে কোন খাতে বইত ঘটনাপ্রবাহ? এই প্রশ্ন মাথায় রেখেই ছবি বানিয়েছেন তিনি, দাবি পরিচালকের। গডসে ও গান্ধীর পরস্পরবিরোধী আদর্শের প্রতিফলন থাকলেও কোনও ধর্মীয় ভাবাবেগের বশে তৈরি নয় এই ছবি, মন্তব্য ‘আজব প্রেম কি গজব কহানি’ খ্যাত পরিচালক।

দীর্ঘ ৯ বছর পরে পরিচালনায় ফিরছেন রাজকুমার সন্তোষী। তাঁর শেষ ছবি ছিল ‘ফাটা পোস্টার নিকলা হিরো’। ২৬ জানুয়ারি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে চলেছে ‘গান্ধী গডসে: এক যুদ্ধ’।

আরও পড়ুন
Advertisement